অভিষেক চৌধুরী, কালনা: লটারির (Lottery) টিকিটেই ফিরল ভাগ্য। পরিযায়ী শ্রমিক থেকে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের পারুলডাঙা এলাকার বাসিন্দা ইসলাম মণ্ডল। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই চায়ের দোকান থেকে পাড়ার ঠেকে সর্বত্রই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ওই যুবক। স্বাভাবিকভাবেই আনন্দে আত্মহারা পরিবার। খুশি এলাকার মানুষজনও।
টিনের ছাউনি, ইঁটের গাঁথনি দেওয়া ঘর। অনটন নিত্য সঙ্গী। ফলে পেটের টানে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) পারুলডাঙা এলাকার চব্বিশ বছর বয়সী ইসলাম মণ্ডল ওরফে খোকনকে গিয়েছিল মধ্যপ্রদেশে। সেখানে সোনার কাজ করতেন। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জন করে তা পাঠাতেন বাড়িতে। মাসখানেক আগে ইসলাম বাড়িতে ফিরে আসেন। তারপর থেকেই মাঝে মধ্যে লটারির টিকিটও কাটতেন তিনি। রবিবারও সে ২৮০ টাকায় ৫০ সেমের লটারির টিকিট কেনেন। সন্ধেয় খেলার ফলাফল বের হতেই জানা যায়, প্রথম পুরস্কার এক কোটি টাকা তার ভাগ্যেই জুটেছে।
[আরও পড়ুন: এবার রেশন নিতে প্রয়োজন গ্রাহকের আঙুলের ছবি, সফটওয়্যার আপডেট করতে গিয়ে নাজেহাল ডিলাররা]
প্রথমে তো বিষয়টা বিশ্বাসই করতে পারেননি তিনি। পরে বারবার টিকিটের নম্বর মিলিয়ে দেখেন যে, পুরস্কার তাঁরই। স্বাভাবিকভাবেই আনন্দে ভেসেছে পরিবার। এই টাকায় কী করবেন ইসলাম? তিনি বলেন, “প্রথমে একটি জায়গা কিনে বাড়ি করতে চাই।পরে ব্যবসাও করব।” ইসলামের ভাই আজমত মণ্ডল জানান, “আমরা সেইভাবে পড়াশোনাও জানি না। নিজেরা নিজেদের কাজকর্ম করে সংসার চালাই। দাদা শখেই লটারির টিকিট কাটা শুরু করে কয়েকদিন আগে থেকে। দাদা কোটি টাকার পুরস্কার পাওয়ায় আমরা খুব খুশি।”