ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: রাস্তায় নেমে জনসংযোগ সারছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। হেঁটে গ্রামে-গ্রামে ঘুরে আমজনতার অভিযোগ শুনছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। পৌঁছে যাচ্ছেন গ্রামবাসীদের ঘরে। এবার মধ্যাহ্নভোজও সারলেন তিনি। বাড়ির অন্য়ান্য বাসিন্দাদের সঙ্গে মাটিতে বসেই সারলেন দুপুরের খাওয়া-দাওয়া।
ময়নাগুড়ি বিধানসভা এলাকার দোমহনি পুরাতন বাজার রাজবংশী এলাকা। শনিবার সেখানেই জনসংযোগ সারছিলেন অভিষেক। সেখানকার বাসিন্দা জীবন রাহুতের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারতে ঢোকেন অভিষেক। গত এক বছর আগে ১২ জুলাই সাংগঠনিক সভা করতে এসে এই বাজার এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। স্থানীয়রা বাজার সংস্কারের কথা জানিয়েছিলেন তাঁকে। অভিষেকের উদ্যোগে জেলা পরিষদ এই বাজার সংস্কার করে দেয় দ্রুত। তখনই জীবনবাবু অভিষেককে তাঁর বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এবার জনসংযোগ যাত্রায় এসে সেই নিমন্ত্রণ রক্ষা করলেন তৃণমূল সাংসদ। কী কী ছিল তাঁর পাতে?
[আরও পড়ুন; বিছানার হারানো উষ্ণতা ফেরাবে ‘তিন মিনিটের খেলা’, পার্টনারকে খুশি করতে জেনে রাখা জরুরি]
অভিষেকের মধ্যাহ্নভোজের মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, পোস্ত, বরোলি মাছের ঝোল, আড় মাছ। শেষ পাতে ছিল টক দই ও মিষ্টি। রাজবংশীদের বিশেষ পদ সজনে পাতার ছেকা অর্থাৎ সজনে পাতার বাটাও দেওয়া হয়েছিল অভিষেককে। জীবনকুমার রাহুতের বাড়িতে তাঁর ভাই সঞ্জীব, তাঁর ছেলে সৌরদীপকে নিয়ে খেতে বসেন তৃণমূল নেতা। জয়া রাহুত আর রুমা রাহুত, পরিবারে দুই বউ দেখভাল করে পরিবেশন সারেন। ছিল সঞ্জীবের বড় ছেলে সৌম্যও। প্রসঙ্গত, জীবন রাউতের কোনও রাজনৈতিক পরিচয় নেই। তিনি টিউশান করেন। এদিন তাঁর বাড়িতেই মাটিতে বসে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।