সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়ছে দত্তপুকুর বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা। রবিবার গভীর রাতে হাসপাতালে মৃত্যু হল ঘটনার অভিযুক্ত সামসুর আলির। এদিকে সোমবার সকালে ঘটনাস্থলের কাছ থেকে উদ্ধার হল একটি কাটা মুণ্ড। পুকুরে মিলেছে মুণ্ডহীণ দেহ। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৯। তবে এখনও সবাইকে শনাক্ত করা যায়নি বলেই খবর।
রবিবার সকালে আচমকাই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বারাসত লাগোয়া দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ ফাঁড়ির নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মোছপোল পশ্চিমপাড়া অঞ্চল। প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে যায় একটি দোতলা বাড়ি। আশপাশের অন্তত ১০০টি বাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয়দের দাবি ছিল, কেরামত এবং সামসুল দু’জনে মিলে বেআইনিভাবে বাজি তৈরি করত। বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হন কেরামত, সামসুল দুজনেই। রবিবার সন্ধেয় মেলে কেরামত ও তাঁর ছেলের মৃত্যুর খবর। রাতে মৃত্যু হল সামসুলের। তার বাড়ি ভাড়া নিয়েই বাজি কারখানা চালাচ্ছিল কেরামত। এদিকে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
[আরও পড়ুন: বিদেশ থেকে স্বামীর পাঠানো টাকা প্রেমিককে দান! চাপে পড়ে অর্থ ফেরতের দাবিতে ধরনায় গৃহবধূ]
প্রসঙ্গত, ঘটনার পর একদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও দত্তপুকুরের মোছপোলের পরিস্থিতি খুব একটা বদলায়নি। এদিকে, বিস্ফোরণকাণ্ডের পর পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে রবিবার রাতেই রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (CM Mamata Banerjee)। পুলিশ প্রশাসনকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যে বম্ব স্কোয়াড ঘটনাস্থলে গিয়ে খতিয়ে দেখেছে সব। ফরেনসিক দলের আজ যাওয়ার কথা মোছপোল এলাকায়।
