রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: এক সাধুর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো শামুকতলায়। শামুকতলা থানার লালপুর শ্মশান ঘাটের কালী মন্দিরের ওই সাধুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে লালপুর শ্মশান ঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মিয়াপাড়া ধারসী নদী থেকে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্থানীয় মানুষের মধ্যে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তল্লাশি।
জানা গিয়েছে মৃত সাধুর নাম মহেন্দ্র সুত্রধর। প্রায় ছয়, সাত মাস আগে তুফানগঞ্জ থেকে লালপুর শ্মশান ঘাটের কালী মন্দিরে আসেন তিনি। রাতের বেলা তিনি একাই থাকতেন কালীমন্দিরের পাশে নিজের ঘরে।
ঘটনার খবর পাওয়ার পরে, তাঁর ঘরে গিয়ে দেখা যায় লন্ডভন্ড অবস্থায় আছে তাঁর ঘর। দু'টি ঘরের দরজা ভেতর দিক থেকে বন্ধ করা ছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু একটি জানলা খোলা ছিল। ওই এলাকার বাসিন্দা এবং প্রতিবেশীরা মিয়া পাড়ার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ধারসী নদীতে তাঁর নগ্ন দেহ খুঁজে পান।
সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ খুঁজে পাওয়া যায় তাঁর দেহ। এরপরেই এলাকার বাসিন্দারা খবর দেন শামুকতলা থানার পুলিশকে। শামুকতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই সাধুর মৃতদেহ উদ্ধার করে আনে শামুকতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন গতকালও ওই সাধুকে দেখেছেন তাঁরা। একজনের দাবি কাল রাতে তাঁর বাড়িতে খেয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় খুনের তত্ত্ব উড়িয়ে দিচ্ছেন না স্থানীয় মানুষ। দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
