বাবুল হক, মালদহ: বাংলার বাড়ি প্রকল্পে পরিবারকে ঘর পাইয়ে দেওয়ার অছিলায় বাড়িতে ঢুকেছিলেন এক তৃণমূল কর্মী। ফাঁকা বাড়িতে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন, ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে প্রথমে ওই পরিবারকে বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। যদিও পরে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি মালদহের ইংরেজবাজার থানার।
জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার থানার যদুপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর গ্রামে ওই পরিবারের বাস। তাদের বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঘর পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী অমল মণ্ডল। অমলের মা আদুরী মণ্ডল স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। বাবা ঝণ্টু মণ্ডলও এলাকার তৃণমূলের নেতা হিসেবে পরিচিত। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত পরিবারের সরকারি টাকায় ঘরের প্রয়োজন ছিল। সেজন্য আবাস যোজনার তালিকায় নাম তোলার জন্য আদুরী মণ্ডলের কাছে একাধিকবার আবেদনও করা হয়েছিল। তৃণমূল প্রধান সানাউল সেখের কাছেও গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু লাভ হয়নি।
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঘর পাইয়ে দেওয়া হবে। সেই কথা বলার জন্য গতকাল সোমবার ওই পরিবারের বাড়িতে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। বাবা-মা না থাকায় গতকাল সেসময় নাবালিকা ঘরে একাই ছিল। সরকারি বাড়ি পাওয়ার জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে? কীভাবে টাকা পাওয়া যাবে? সেই বিষয় বোঝানোর অছিলা ঘরের ভিতর ঢুকে পড়েন তিনি। এরপরেই ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। কোনওরকমে তাঁর কবল থেকে বেরিয়ে রাস্তায় ছুটে পালায় কিশোরী। আশপাশের বাড়ির লোকজনকেও ঘটনার কথা জানায়। প্রতিবেশীরা ওই বাড়িতে গেলেও অভিযুক্ত ততক্ষণে সেখান থেকে পালিয়েছেন।
নাবালিকার বাবা-মা প্রথমে অভিযোগ নিয়ে প্রধানের কাছে গিয়েছিলেন। নিজেদের মধ্যে বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। পুলিশের কাছে যেতেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে গতকাল রাত পর্যন্ত চাপ দেওয়া হচ্ছিল ওই পরিবারকে। শেষপর্যন্ত সব চাপকে অগ্রাহ্য করে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই পরিবার। ঘটনার পর থথেকেই ওই তৃণমূল কর্মী পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
