সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: 'চিন্ময় প্রভুকে ফাঁসি দেওয়া হবে বাংলাদেশে।' নদিয়ার চায়ের দোকানে বসে এমনটাই নাকি মন্তব্য করেন এক ব্যক্তি। আর এতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। রে রে করে ওঠেন অন্যান্য খদ্দেররা। তাঁদের অভিযোগ, সমরেন্দু মণ্ডল নামের ওই ব্যাক্তি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। যদিও এদেশের আধার কার্ড রয়েছে তাঁর। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শেষমেষ রণে ভঙ্গ দিয়ে পালাতে হয় অভিযুক্তকে।
ঘটনাটি ঘটেছে সীমান্তবর্তী নদিয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানার ডোঙাঘাটা এলাকায়। জানা গিয়েছে, বুধবার স্টেশন চত্বরে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। সেখানেই ইসকনের জেলবন্দি সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুকে কটুক্তি করেন সমরেন্দু। ভারতের সমালোচনায় নাকি করেন তিনি। অন্যান্য খদ্দেররা আপত্তি করতেই শুরু হয় উত্তেজনা। নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন করলে, সমরেন্দু দাবি করেন, বাংলাদেশ থেকে ১৯৮৪ সালে ভারতে আসেন তিনি। পরক্ষণেই আবার বলেন, ১৯৯৪ সালে তাঁর এদেশে আসা। কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়তেই তাঁকে চেপে ধরে বাকিরা। চাপের মুখে শেষমেশ এলাকা ছাড়তে হয় অভিযুক্তকে।
উল্লেখ্য, চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারিকে কেন্দ্র করে ফুটছে বাংলাদেশ। আঁচ পড়েছে এপারেও। বাতাস ভারী বিক্ষোভ, সমাবেশ, মিছিলে। বহু যায়গায় বাংলাদেশিদের বয়কট করার ডাক ক্রমে জোরাল হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে, এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করেই স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রশাসন ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। এমনই দাবি করেছেন সাধারণ মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, বহু বাংলাদেশি্ নাগরিক অবৈধভাবে এরাজ্যে রয়েছে। তাদের দ্রুত শনাক্ত করে ফেরত পাঠাতে হবে।