shono
Advertisement
Raiganj Fire

বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই রায়গঞ্জের কারখানা, কাজ হারিয়ে মাথায় হাত দুহাজার কর্মীর!

কারখানায় অগ্নি নির্বাপকের পর্যাপ্ত পরিকাঠামো কি ছিল ? আগুন লাগল কীভাবে ? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
Published By: Sayani SenPosted: 02:37 PM Dec 04, 2024Updated: 06:52 PM Dec 04, 2024

শঙ্করকুমার রায়, রায়গঞ্জ: বিধ্বংসী আগুনে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত কেক-বিস্কুট তৈরির একটি কারখানা। মঙ্গলবার গভীর রাতে এই ভয়াবহ আগুন লাগে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। কারখানায় তিন শিফ্টে প্রায় দুই হাজার কর্মী কাজ করতেন। কারখানা পুড়ে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে তাদের। কাজ হারানোর আশঙ্কা করছেন কর্মীরা। কারখানার আগুনে আশপাশের বেশ কিছু বাড়িঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার গভীর রাতে কারখানার ভিতর আগুন দেখতে পান কর্তব্যরত কর্মীরা। সেই আগুন অনতিপরেই বিধ্বংসী আকার নেয়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে বেকারির দোতলা-তিনতলার গুদামঘরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ১২ টি দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছয়। রায়গঞ্জের পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জ ও বিহার লাগোয়া ডালখোলা থেকেও দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছেছিল। যদিও আগুন ততক্ষণে গ্রাস করে নিয়েছে গোটা কারখানা।

দমকলের উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। সেই কারণে আগুন আগে নেভাতে পারা গেল না। সেই অভিযোগ করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও কারখানার কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দমকল কর্মীদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দেন তাঁরা। ওই বেকারিতে তিন শিফ্টে অন্তত দুই হাজার কর্মী কাজ করতেন। আগুনের জেরে এখন কর্মহীন হয়ে পড়লেন। উত্তরবঙ্গ-সহ বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় এই বেকারির পাউরুটি, কেক, বিস্কুট সরবরাহ করা হত।

এত বড় কারখানায় অগ্নি নির্বাপকের পর্যাপ্ত পরিকাঠামো কি ছিল ? আগুন লাগল কীভাবে ? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভোর পর্যন্ত সেই আগুন জ্বলেছে। শটসার্কিট থেকে আগুন লাগল ? নাকি অন্য কোনও ঘটনা ? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। রাতের শিফ্টে বহু কর্মী কাজ করছিলেন। তারা আগুন দেখে কারখানা থেকে দ্রুত বেরোন। প্রাণহানির কোনও ঘটনা ঘটেনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • গুনে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত কেক - বিস্কুট তৈরির একটি কারখানা।
  • মঙ্গলবার গভীর রাতে এই ভয়াবহ আগুন লাগে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে।
  • কাজ হারানোর আশঙ্কা করছেন কর্মীরা।
Advertisement