রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: কারও বাড়ির টিনের চাল দিয়ে জল পড়ে। কারও দেওয়াল প্রায় ভাঙা। অভিযোগ, যোগ্য হওয়ার পরও আবাস যোজনার নতুন তালিকায় নাম নেই তাঁদের। তা নিয়ে ব্লক কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাঁধে স্থানীয়দের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বিডিও। তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। বুধবার নদিয়া করিমপুরের ২ ব্লকের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিডিও বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
সম্প্রতি আবাস যোজনার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। বাড়ির অবস্থা খারাপ হওয়া সত্ত্বেও করিমপুরের রহমতপুরের পুঁটিমারি গ্রামের অনেকের নাম নতুন তালিকায় আসেনি বলে অভিযোগ। তা নিয়ে ব্লক কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান 'বঞ্চিতরা'। এত সাবধানতা অবলম্বন করে সমীক্ষার পরেও এমন কী করে হল প্রশ্ন তোলেন স্থানীয়রা। নতুন করে আবেদন করার পরেও তাঁদের ক্ষেত্রে সঠিক বিচার হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেকে।
আবাস যোজনার সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত থাকা সরকারি কর্মীর সঙ্গেও বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিডিও সুপ্রতীক মজুমদার। তাঁর কাছে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বাসিন্দারা। মতিরুল মণ্ডল, মন্টু শেখদের দাবি, পুরনো তালিকায় নাম থাকলেও নতুন তালিকায় অনেকের যোগ্য প্রাপকদের নাম বাদ গিয়েছে। তাঁরা বিডিওকে বলেন, "ভাল করে এলাকা ঘুরে দেখুন। তবেই প্রকৃত দাবিদাররা ঘর পাবেন।"
রহমতপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শম্পা মণ্ডল জানান, "ব্লকের এক কর্মীর সঙ্গে গ্রামবাসীদের বাদানুবাদ শুরু হয়। ঘটনার কথা শুনে বিডিও সাহেব এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।" করিমপুর -২ ব্লকের বিডিও বলেন, "ওই এলাকার কিছু মানুষ বঞ্চিত বলে দাবি করেন। আমি তাঁদের বিষয়টি বুঝিয়ে বলেছি। তাছাড়াও লিখিত আবেদন নিয়ে আজকেই ওই গ্রামে বেশকিছু বাড়ি খতিয়ে দেখেছি। আপাতত আর কোনও বিবাদ নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।"