নন্দন দত্ত, সিউড়ি: সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুর পর আতঙ্কে কাঁপছে রামপুরহাট (Rampurhat)। সাক্ষী দেওয়ার নাম করে গ্রামের বাসিন্দাদের তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচারের অভিযোগ করছেন সিবিআইয়ের (CBI) বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, সিবিআই হেফাজতে থাকা বগটুই কাণ্ডের অন্যান্য অভিযুক্তদের প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্য়দের বাঁচাতে রীতিমতো সিবিআইয়ের হাতেপায়ে ধরছেন তাঁরা।
বগটুই কাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়েছেন জাহাঙ্গির শেখ। রামপুরহাটের পান্থশ্রীতে সিবিআই ক্যাম্পে রাখা হয়েছে তাঁকে। যেখানে বন্দী ছিলেন লালন শেখও। সোমবার লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পরই সিবিআই ক্য়াম্পে ছুটে যান জাহাঙ্গিরের বাবা মারফত শেখ। হাতজোড় করে সিবিআই আধিকারিকদের কাছে আরজি জানান, “লালনের মতো আমার ছেলেকে মেরে ফেলবেন না।” আতঙ্কিত বগটুই কাণ্ডে সিবিআই হেফাজতে থাকা আরেক অভিযুক্ত আনারুল হোসেন। তাঁর আইনজীবী অবশ্য আগেই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ এনেছিলেন। নিজের মক্কেলকে নিয়ে চিন্তিত আইনজীবী।
[আরও পড়ুন: ‘CBI-এর শাস্তি চাই’, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের লালনের পরিবারের]
ভাদু শেখের মৃত্যুর পর বগটুই (Bagtui Fire) গ্রামে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নাম উঠে এসেছিল জাহাঙ্গির শেখের নাম। সে ভাদু শেখের সৎ ভাই। দু’জনের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ভাল। জাহাঙ্গিরের হদিশ পেতে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। চার্জশিটেও নাম ছিল জাহাঙ্গিরের। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আপাতত সিবিআই হেফাজতেই আছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ সন্ধেয় বড়শাল গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ (Bhadu Sheikh) খুন হন। এরপর রাতে বগটুইতে একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজেও খোদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিহতদের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন।