সৈকত মাইতি, তমলুক: শ্বশুরবাড়িতে জামাইষষ্ঠীর নেমন্তন্ন খেতে গিয়েই বিপত্তি। পুলিশের জালে ধরা পড়ল ময়নার বিজেপি (BJP) নেতা খুনে ঘটনায় আরও এক অভিযুক্ত। শুক্রবার ধৃতকে তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
মাস খানেক আগে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার (Moyna) বাকচায় বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইঞা খুন হন। এই ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই মিলন ভৌমিক নামে ওই এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে প্রথমেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর একে একে গ্রেপ্তার হয় ওই এলাকারই বাসিন্দা অভিযুক্ত সুজয় মণ্ডল, নন্দন মণ্ডল ও সুব্রত মণ্ডল। এর ঠিক কিছুদিনের মধ্যেই হলদিয়া থেকে পুলিশের জালে ধরা পড়ে মূল অভিযুক্ত হিসেবে ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোড়ামহল এলাকার বাসিন্দা শ্যামপদ মণ্ডল, মধুসূদন সাউ, সাগর মণ্ডল। এদিকে নিহত বিজেপির বুথ নেতা খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রায় ৩৫ জনের মধ্যে পুলিশের এফআইআরের (FIR) তালিকায় থাকা সাত নম্বরের নাম ছিল বুদ্ধদেব মণ্ডল এতদিন পলাতক ছিল।
[আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামে অভিষেকের কর্মসূচির মাঝে কুড়মি বিক্ষোভ, বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি]
এমন পরিস্থিতিতে ময়নার বাকচা গোরামাহাল এলাকার বাসিন্দা বুদ্ধদেব মণ্ডল পাশের চাঁদিবেনিয়া এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে জামাইষষ্ঠীর (Jamai Sasthi) নেমন্তন্ন খেতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেখানেই পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি চা দোকানে গিয়ে অযথা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ, এই ঘটনায় বেশ কিছু বিজেপি কর্মী-সমর্থক অভিযুক্ত বুদ্ধদেব মণ্ডলকে মারধর করে গাছে বেঁধে রাখে। পরবর্তী সময়ে তাকে ফের গোড়ামহাল এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই খবর পেয়ে রাতে অভিযুক্ত ওই বুদ্ধদেব মালকে গ্রেপ্তার করে ময়না থানার পুলিশ। এদিন ধৃতকে তমলুক (Tomluk)আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী সফিউল আলি খান।
[আরও পড়ুন: প্রকাশিত রাজ্য জয়েন্টের ফলাফল, প্রথম দশে অধিকাংশই CBSE ছাত্রছাত্রী]
অন্যদিকে, এই মামলাতেই আর এক অভিযুক্ত বীরেন মণ্ডলকে এদিন আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এই গ্রেপ্তারের পাশাপাশি অভিযুক্তকে মারধরের ঘটনায় পৃথক একটি মামলা রুজু হয়েছে বলে ও জানিয়েছেন ময়না থানার আইসি কৃষ্ণেন্দু প্রধান। নিহত বিজয় কৃষ্ণ ভুঁইঞার স্ত্রী লক্ষ্মী ভুঁইঞার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের এফআইআর-এ নাম থাকা মোট ৩৫ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১৮ নম্বরে নাম রয়েছে বীরেন মণ্ডলের এবং ৭ নম্বরে নাম রয়েছে অভিযুক্ত বুদ্ধদেব মণ্ডলের।