কলেজ সেমিস্টারের উত্তরপত্র ‘উধাও’! গৌড়বঙ্গে স্নাতকের ফলপ্রকাশ নিয়ে চিন্তিত কর্তৃপক্ষ

01:20 PM Mar 28, 2023 |
Advertisement

বাবুল হক, মালদহ: এবার উত্তরপত্র ‘উধাও’! যদিও সেই সংখ্যাটা মাত্র ১০। তবু এর জন্য ভুক্তভোগী হতে হবে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Gourbanga University) অধীনে থাকা কলেজগুলির অন্তত ৩১ হাজার ছাত্রছাত্রীর। ‘উধাও’ উত্তরপত্রের (Missing Answer sheets) সুরাহা না হলে বাংলা বিষয়ের তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে যাবে বলে কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা। এই ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে পরীক্ষার্থীদের তরফে।

Advertisement

সোমবার সন্ধ্যায় গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এই সমস্যার বিষয়টি জানিয়েছেন পরীক্ষা নিয়ামক বিশ্বরূপ সরকার। তিনি বলেন, “একজন পরীক্ষকের কাছ থেকে আমরা দশজন পড়ুয়ার উত্তরপত্র পাইনি। যাঁদের উত্তরপত্র পাওয়া যায়নি তাঁদের নাম ও রোল নম্বর সমেত পুলিশকে জানানো হয়েছে। ঠিক এক সপ্তাহ পর সোমবার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের টার্গেট নিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু সেই দশটি উত্তরপত্র না পেলে প্রায় ৩১ হাজার পড়ুয়ার ফল প্রকাশ অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে যাবে। বিষয়টি নিয়ে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের (ইসি) বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ইসি’র সিদ্ধান্ত ছাড়া ফল প্রকাশ সম্ভব নয়।”

[আরও পডুন: বাঘ মেরে পাচারের ছক? নদিয়ার সীমান্ত এলাকায় থেকে উদ্ধার বাঘের চামড়া, পলাতক দুষ্কৃতীরা]

ঘটনার সূত্রপাত ঘটে দিন চারেক আগে। ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হেনস্তার অভিযোগ তোলেন সাউথ মালদহ কলেজের (South Maldah College) এক অধ্যাপক তথা পরীক্ষক সৌগত বাগচী। শুক্রবার বিকেলে ওই ঘটনা ঘিরে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়ায়। ওই অধ্যাপক অভিযোগ তুলেছিলেন, উত্তরপত্র জমা দিতে বিলম্ব হওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয়। এদিন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক বিশ্বরূপ সরকার জানিয়েছেন, ওই অধ্যাপককে কেউ হেনস্তা করেননি। তাঁর কাছ থেকে তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষার বাংলা বিষয়ের দশটি উত্তরপত্র পাননি। এনিয়ে কর্মীদের সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। তিনি উত্তরপত্রগুলি ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে চলে যান। এমনকী টিফিনও খাননি, তা ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন।

Advertising
Advertising

[আরও পডুন: ফের প্যান-আধার সংযুক্তিকরণের সময়সীমা বাড়ছে? নয়া সিদ্ধান্তের পথে কেন্দ্র]

এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ামক বিশ্বরূপ সরকার বলেন, “এখন নতুন করে সমস্যা তৈরি হয়েছে। ওই পরীক্ষক ১০টি খাতা বুঝিয়ে দিতে পারেননি। বাকি খাতা রিসিভ করা হয়েছে। পরীক্ষার ফল প্রকাশ পিছিয়ে যাবে।” এদিন অবশ্য ওই অধ্যাপক, সৌগত বাগচীর কথায়,”আমাকে হেনস্তা করার চারদিন পর আমার বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র শুরু হল! আমিও সেই দিনের ঘটনা পুলিশকে জানিয়েছি।”

Advertisement
Next