দেব গোস্বামী, বোলপুর: মার্কিন নির্বাচনের ফলাফলকে হাতিয়ার করে রাজ্য বিজেপিকে বিঁধলেন অনুপম হাজরা। তাঁর দাবি, বঙ্গ বিজেপির অবস্থা পরাজিত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের মতো!
সোশাল মিডিয়ায় বিজেপি নেতা অনুপম লেখেন, 'প্রত্যেক বুথে লোক বসাতে পারায় ট্রাম কাকাই জিতেছে। অন্যদিকে, কমলাদেবীর অবস্থা মনে হয় বঙ্গ বিজেপির মতো। কাগজে-কলমে বুথ কমিটি থাকলেও বুথে বসার লোক নেই।' বেশ কিছুদিন ধরেই একের পর এক 'দলবিরোধী' মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির শীর্ষনেতৃত্বর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে তাঁর। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের পদও হারিয়েছেন। তার পরেও নাম না করে বিজেপির শীর্ষ কার্যকর্তাদের লাগাতার আক্রমণ থামেনি তাঁর।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে অনুপম হাজরা জানান, "লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই চেষ্টা করেছিলাম চোরাবালির উপর দাঁড়িয়ে থাকা বঙ্গ বিজেপিকে আয়না দেখাবার। আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম বিজেপির চিটিংবাজ, সেটিংবাজ গুলোকে প্রাধান্য না দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিপুল পরিমাণে বসে থাকা বিজেপির আদি, কোণঠাসা, অবহেলিত, বঞ্চিতদের মাঠে নামিয়ে একসঙ্গে কাজ করব। কিন্তু সত্য কথা বলার জন্যই বিজেপির সেটিং বা চিটিংবাজরা এক হয়ে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেয়। এরজন্য অনেক হাসিঠাট্টা, তির্যক মন্তব্য সহ্য করতে হয়েছে। ঔদ্ধত্য এবং আত্মঅহংকার থেকেই লোকসভার এমন ফলাফল। অধিকাংশ কার্যকর্তারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। যাঁদের পদে বসিয়েছেন সকলেই অযোগ্য।"
অনুপমের বক্তব্যকে ঘিরে অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। এদিকে পদ চলে গেলেও অনুপম বিজেপিতেই আছেন। সম্পর্ক খারাপ হয়েছে রাজ্য ও শীর্ষ কার্যকর্তাদের সঙ্গে। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে আক্রমণের পর তাঁর বক্তব্যকে ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও এ প্রসঙ্গে বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল কোনও মন্তব্য করতে চাননি।