দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ভোটের মরশুমে ফের খবরের শিরোনামে ভাঙড় (Bhangar)। দিন কয়েক আগেই এক আইএসএফ কর্মীর বাড়ি থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। এবার এক বাঁশবাগান থেকে প্রচুর বোমা (Bomb) উদ্ধার হল। কে বা কারা, কী উদ্দেশে সেখানে ওই বোমা রাখা হয়েছিল, তা এখনও অজানা। মঙ্গলবার সকালে বোমা উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ভাঙড় এলাকায়।
এদিন সকালে তারাহেদিয়া গ্রামে একটি বাঁশবাগান থেকে ২০০টি বোমা উদ্ধার হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাঁশবাগানে হানা দেয় কাশিপুর থানার পুলিশ। তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তাজা বোমাগুলি উদ্ধার করে তারা। পুলিশ সূত্রে খবর, বোমাগুলি তাজা। দিন কয়েক আগেই তৈরি হয়েছিল বোমাগুলি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।
[আরও পড়ুন : ব্লু-টুথ স্পিকারে গান শোনা নিয়ে বচসা! খড়গপুরে মদের আসরে বন্ধুর হাতে খুন যুবক]
এবার নির্বাচনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে ভাঙড় কেন্দ্রটি। এবার এখানে চতুর্মুখী লড়াই। এই কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে জমি আন্দোলন কমিটি, তৃণমূল, আইএসএফ এবং বিজেপি। ফলে ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই ভাঙড়ের উত্তাপ বাড়ছে। প্রসঙ্গত, ব্রিগেড সমাবেশের দিন আইএসএফ কর্মীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের অশান্তিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়ের দুর্গাপুর এলাকা। সেই সময় কয়েকজন আইএসএফ কর্মী দুর্গাপুর (Durgapur) পঞ্চায়েতে ঢুকে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তি চলছিলই। এই পরিস্থিতিতে গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, আইএসএফ কর্মী জলিল মোল্লার বাড়িতে বোমা তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে মজুত রয়েছে অস্ত্রও। এরপরই জলিলের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখান থেকেই মেলে বোমা তৈরির সামগ্রী, বোমা, গুলি ও আগ্নেয়াস্ত্র। এরপরই জলিল মোল্লা-সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি ধৃতদের নাম জাহাঙ্গির মোল্লা, মফিজুল মোল্লা, রবিউল শেখ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জলিল মোল্লার ছেলে ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা। তার খোঁজ চলছে। একের পর এক ঘটনায় চাঞ্চল্য বাড়ছে। মনে করা হচ্ছে, নির্বাচনী আবহে ভাঙড়ে অশান্তি ছড়াতেই বোমা তৈরি করা হচ্ছে। মজুত হচ্ছে বোমা।