রাজা দাস, বালুরঘাট: সীমান্ত পেরিয়ে এসে আত্মগোপন করেছিল বাংলাদেশি এক যুবক। শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের রাজুয়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হল। বাংলাদেশের রাজনৈতিক আবহে অশান্তির আঁচ এপারের সীমান্ত এলাকাগুলিতেও। অনুপ্রবেশকারীরা সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে ঢুকছে বলে আশঙ্কা। বাংলার একাধিক জায়গা থেকেও কয়েক দিন ধরে একাধিক জঙ্গি গ্রেপ্তারের ঘটনা সামনে এসেছে। সেই আবহে এবার বালুরঘাট থেকে পাকড়াও হল মহসিন মণ্ডল নামে এক যুবক। এদিন নদিয়ার গাংনাপুর থেকেও তিন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২৩ বছরের ওই যুবক কী উদ্দেশ্য নিয়ে এই রাজ্যে এসেছিল? কেনই বা সে গা ঢাকা দিয়েছিল? সেইসব প্রশ্ন উঠেছে। বালুরঘাট থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে এক বাংলাদেশিকে ওই এলাকায় দেখা গিয়েছে। রাজুয়া গ্রামের বাসিন্দা মোক্তার মণ্ডলের বাড়িতে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন বলে খবর। এরপরই পুলিশ হানা দেয় সেই বাড়িতে। বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে আসার জন্য বৈধ কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। বাংলাদেশের কোনও পরিচয়পত্রও তাঁর কাছে ছিল না। এরপরেই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, মহসিন মণ্ডলের বাড়ি বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার পলিপাড়া গ্রামে। চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে বেশ কয়েক দিন আগেই তিনি ভারতে এসেছিলেন। গত আট দিন ধরে সে বালুরঘাটের ওই গ্রামের আস্তানা নেয়।
কেন তিনি সেখানে এসেছিলেন? মহসিন এর আগে রাজ্যের অন্য কোথাও কি গিয়েছেন? মোক্তার মণ্ডলের সঙ্গে মহসিনের কী সম্পর্ক? সেই তথ্য জানার চেষ্টা চলছে। মোক্তার মণ্ডলকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোক্তার মহসিনকে নিজেদের আত্মীয় বলে পরিচয় দিয়েছেন। এমনই জানিয়েছেন, বালুরঘাটের ডিএসপি(সদর) বিক্রম প্রসাদ। ধৃত বাংলাদেশি যুবকের সঙ্গে জঙ্গিদের কি কোনও সম্পর্ক আছে? সেই বিষয়টিই এখন ভাবাচ্ছে পুলিশকে। ধৃত কতটা সত্য কথা বলছেন তিনি? তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বেশ কয়েক দিন ধরেই রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়ছে। খাস কলকাতার পার্কস্ট্রিট এলাকা থেকেও গ্রেপ্তার হয়েছেন এক বাংলাদেশি যুবক।