সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলন্ত মেল ট্রেনের মধ্যেই কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন বাংলাদেশের (Bangladeshi) এক মহিলা। আর সদ্যোজাতকে পৃথিবীর আলো দেখাতে হাতে হাত রেখে এগিয়ে এল রেল কর্তৃপক্ষ, রেল পুলিশ, প্যাসেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন, বেসরকারি নার্সিংহোম। মা ও সন্তান সুস্থই রয়েছে। তবে সন্তান প্রিম্যাচিওর, তাই চিকিৎসার জন্য ভরতি করা হয়েছে কলকাতার (Kolkata) হাসপাতালে।
শনিবার ডাউন বম্বে মেল (Bombay Mail) ট্রেনটি হাওড়ার দিকে আসছিল। ওই ট্রেনের S3 কোচে ছিলেন বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার রেজাউল গাজী ও তাঁর স্ত্রী মঞ্জিলা খাতুন। মঞ্জিলা ছিলেন সন্তানসম্ভবা। ট্রেনটি দক্ষিণ পূর্ব রেলপথের মেচেদা (Mecheda) স্টেশনে আসার সময় হঠাৎ মঞ্জিলার প্রসব বেদনা শুরু হয়। সহযাত্রীদের মাধ্যমে রেলেওয়ের টিটি বিষয়টি জানতে পেরে তিনি রেলের স্থানীয় আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আধিকারিকরা মেচেদা স্টেশনে হাজির হয়ে যান।
[আরও পড়ুন: রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, চাপে পড়ে ভিডিও বার্তায় ক্ষমা চাইলেন অমোঘ লীলা]
রেল কর্তৃপক্ষ আবার প্যাসেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দক্ষিণ পূর্ব রেলের (হাওড়া জকপুর) প্যাসেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের পদাধিকারী অজয় দোলুই এর বাগনান স্টেশন সংলগ্ন মার্সি নার্সিং হোমের সাথে যোগাযোগ করেন। তৎপর হয়ে ওঠেন আরপিএফ,জিআরপি ও বাগনান স্টেশনের রেলকর্মীরা। বাগনান (Bagnan) স্টেশনের বাইরে অ্যাম্বুল্যান্স রাখা হয়। পরে ওই বম্বে মেলটি বাগনান স্টেশনে দাঁড় করানো হয়।
[আরও পড়ুন: টলিপাড়ার ‘ফ্যাশন ক্যুইন’! হ্যান্ডলুম শাড়ি, রুপোর গয়নায় বাজিমাত স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের]
উল্লেখ্য এই বম্বে মেলের মেচেদা ও বাগনানে দাঁড়ানোর কথা নয়। এদিকে বাগনান স্টেশনে ডাউন বম্বে মেল প্রবেশ করতেই তৎপরতার সঙ্গে সদ্যোজাত এবং প্রসূতি মহিলাকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় নার্সিংহোমে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা চিকিৎসা করেন। জানান, মা ও সদ্যোজাত কন্যা ভাল আছে। তবে সদ্যোজাত প্রিম্যাচিওর। ওজন ১ কেজি ৩০০ গ্রাম । চিকিৎসকরা আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতার একটি হাসপাতালে ভরতি করার পরামর্শ দেন।
