অর্ণব দাস, বারাসত: আর জি কর কাণ্ডের পর থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে বারবার উঠে এসেছে দাদাগিরি অথবা তোলাবাজির অভিযোগ। এরই মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার জেলার সদর বারাসতের প্রাণকেন্দ্র কলোনী মোড়ের ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে ওভারলোডেড গাড়ি থেকে 'তোলা' তোলার অভিযোগ উঠল সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। যার ভিডিও ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল। নেটদুনিয়ায় এনিয়ে জোর চর্চাও শুরু হয়েছে। (যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন।)

এরপরেই পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে একের পর এক বেনিয়ম মেনে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন নেটিজেনরা। বারাসত জেলা পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া জানিয়েছেন, "ডিএসপি (ট্রাফিক) ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট জমা করেছে। বিভাগীয় তদন্ত করে অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।"
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, এক সিভিক ভলান্টিয়ার একেরপর এক ওভারলোডেড ট্রাকের কাছে দাঁড়াচ্ছে। চালকেরা সেই সিভিককে দেখে গাড়ির গতি কমিয়ে জানলার থেকে হাত বার করে টাকা দিচ্ছে। বুক ফুলিয়ে তোলার সেই টাকা হাত পেতে নিয়ে আবার তখনই পকেটে পুড়ছেন গুণধর সিভিক ভলান্টিয়ার। ভিডিওটি দেখে বোঝাই যাচ্ছে দ্বিধাবোধ তো নয়ই বরং কোনও কিছুরই যেন তোয়াক্কা করছেন তিনি।
বারাসতের ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই যাতায়াত করে হাজারো মালবাহী গাড়ি। রাত যত বাড়ে, ততই বাড়ে ট্রাকের দাপদ। যার জেরে তীব্র যানজটে নাকাল হতে হয় সাধারণ মানুষের। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই বাসিন্দারা বলতে শুরু করেছেন, জাতীয় সড়কে 'কৃত্রিম' যানজট তৈরি করে ফায়দা নেন সিভিক ভলান্টিয়ারদের একাংশ। ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও তাঁরা কিছুই করেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীরা এই ভিডিওকে হাতিয়ার করে বলতে শুরু করেছে 'বেআইনি' ওভারলোড গাড়ির বিরুদ্ধে আইনিপথে ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে তোলা তুলে একপ্রকার 'ছাড়পত্র' দেওয়ার অলিখিত আইন তৈরি করে ফেলেছে পুলিশ। আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওভারলোড গাড়ির ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশ ছাড়ের পর ন্যূনতম কুড়ি হাজার টাকা সঙ্গে প্রতি টনে ২ হাজার টাকা করে জরিমানা হয়। তাই ভিডিওর সত্যতা থাকলে সরকারের রাজস্বের ক্ষতি বলেই মেনে নিয়েছে শাসক দল।