শান্তনু কর ও দেবব্রত মণ্ডল: অজানা প্রাণীর পায়ের ছাপকে কেন্দ্র করে ভাল্লুকের আতঙ্ক ছড়াল জলপাইগুড়িতে। পদচিহ্নের পাশেই মিলেছে রক্তের দাগ। যা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয়দের আতঙ্ক। নিশ্চিত না হলেও সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বনদপ্তরের আধিকারিকরা দাবি করেছেন, প্রাণীটি ভাল্লুকই (Bear)।
মঙ্গলবার সকালে জলপাইগুড়ির তিস্তা উদ্যান ও সংলগ্ন এলাকায় অজানা প্রাণীর পায়ের ছাপ দেখতে পান সেখানে কর্মরত বনবিভাগের কর্মীরা। পাশেই দেখা যায় রক্তের দাগ। যা তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি করে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বনবিভাগে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রামশাই, লাটাগুড়ি সহ একাধিক রেঞ্জের কর্মীরা। প্রাণীটির খোঁজে উদ্যানে চালানো হয়। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও প্রাণীটির হদিশ মেলেনি। বনদপ্তরের কর্মীদের কথায়, “সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্ভবত প্রানীটি ভাল্লুক। তবে ধরা না পড়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে জানানো সম্ভব নয়। তবে মনে করা হচ্ছে, প্রানীটির শরীরে চোট রয়েছে। সেই কারণেই রক্তক্ষরণ হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘বিধায়ক চিপ কথা বলছেন’, পৃথক জেলার আরজি শুনেই মেজাজ হারালেন মমতা]
জানা গিয়েছে, প্রাণীটির খোঁজে এখনও চলছে তল্লাশি। মনে করা হচ্ছে, বড় গাছের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে জন্তুটি। যাতে কোনওরকম দুর্ঘটনা না ঘটে সেই কারণে সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে উদ্যানের দ্বার। অবিলম্বে প্রাণীটির হদিশ পাওয়ার চেষ্টায় বনদপ্তরের কর্মীরা।
একইদিনে বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছে সুন্দরবনের কুলতলিতে। মঙ্গলবার সাতসকালে লোকালয়ে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান কুলতলি ব্লকের ভুবনেশ্বরী গ্রামের বাসিন্দারা। যার জেরে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, বাঘটিকে ক্ষেতে লুকিয়ে থাকতে দেখেছেন তাঁরা। সেই কারণেই গ্রামবাসীরা লাঠি-সোঁটা নিয়ে একত্রিত হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। যাতে কোনওভাবেই বাঘটি কারও বাড়িতে হামলা চালাতে না পারে। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় বন দপ্তরের রায়দিঘি রেঞ্জে। নদী পথে জাল, ঘুমপাড়ানি গুলি ও বন্দুক নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় তাঁরা। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় রাতে ধরা পড়ে বাঘটি।