বাবুল হক, মালদহ: ফের ভিনরাজ্যে খুন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant Labourer)। বিহারের পাটনায় কাজ করতে গিয়ে গুলিতে খুন হলেন মালদহের (Maldah) এক পরিযায়ী শ্রমিক। পাটনার কারমালিচক বাইপাস এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে মঙ্গলবার মৃত শ্রমিকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।
মৃতের নাম শামিম আকতার (২৮)। তাঁর বাড়ি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কাউয়ামারি গ্রামে। পাটনার কারমালিচক এলাকায় পানীয় জলের পাইপলাইন বসানোর কাজ করতে গিয়েছিলেন ওই শ্রমিক। ফোনে মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছতেই গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। তবে কে বা কারা তাঁকে খুন করেছে, সেই বিষয়ে পরিবারের লোকজন এখন পর্যন্ত কিছু জানতে পারেননি।
[আরও পড়ুন: ২০২২ সালে আর উচ্চারণ করতে পারবেন না! জানেন বাতিল হল কোন কোন শব্দ?]
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে। শরীরে তিনটি গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শ্রমিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পাটনার কারমালিচক বাইপাস এলাকায় মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের আরও কয়েকজন শ্রমিক পাইপ বসানোর কাজ করেন। তাঁরাই শামিমের মৃত্যুর খবরটি পরিবারের সদস্যদের ফোনে জানিয়েছেন। এদিন মৃত শ্রমিকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল বিধায়ক তাজমুল হোসেন। পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন বিধায়ক।
পাশাপাশি বিজেপি শাসিত রাজ্য বিহারের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও সরব হলেন বিধায়ক। তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ, “বিহারে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। বাংলার শ্রমিক বলেই শামিমকে খুন করা হয়েছে। আমরা চাই, বাংলার শ্রমিককে কারা হত্যা করেছে, সেটা বিহার পুলিশ তদন্ত করে বের করুক।”
মালদহ জেলার হরিশচন্দ্রপুরের কাওয়ামারি গ্রামের শামিম আকতার এলাকায় জামাল নামে পরিচিত ছিলেন। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী, কন্যা সন্তান এবং বৃদ্ধা মা। এছাড়াও রয়েছেন তিন ভাই এবং এক বোন। অভাবের সংসার। হরিশ্চন্দ্রপুরে বোলারো গাড়ি চালাতেন শামিম। পরে বিহারের পাটনার কারমালিচক বাইপাস আস্তানা এলাকায় শ্রমিকের কাজ করতে যান তিনি। এলাকার আরও কয়েকজন তাঁর সঙ্গে ছিলেন। মৃত শ্রমিকের মা রাহেলা বেওয়া বলেন, “তিনদিন পর ছেলের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু আর ফেরা হল না। যারা মেরেছে তাদের শাস্তি চাই।”