সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশজুড়ে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ করছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। গত ১৪ জানুয়ারি মণিপুরের ইম্ফল থেকে শুরু হয়েছে ‘ন্যায় যাত্রা’। ইতিমধ্যে তা অসমে প্রবেশ করেছে। সেখান থেকে বক্সিরহাট হয়ে ২৪ জানুয়ারি কোচবিহারে (Cooch Behar) ঢুকবে। দু দফায় মোট ৫ দিন বাংলায় ‘ন্যায় যাত্রা’ নিয়ে থাকার কথা ছিল রাহুলের। তবে চূড়ান্ত রুটম্যাপ প্রকাশ হতে দেখা গেল, ৫ নয়, সাতদিন বাংলার নানা প্রান্তে চলবে ‘ন্যায় যাত্রা’। চা বাগান, আদিবাসী মহল্লায় জনসংযোগ করবেন রাহুল। শনিবার শিলিগুড়িতে (Siliguri) দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপালের উপস্থিতিতে জানা গেল নয়া রুট।
সূচি অনুযায়ী, চব্বিশে বাংলায় প্রবেশ করে ‘ন্যায় যাত্রা’ (Nyaya Yatra) ২৫ জানুয়ারি ফালাকাটায় পৌঁছবে। সেখানে ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি রাতে থাকবেন রাহুল। ওই দুদিন তাঁর কোনও কর্মসূচি নেই। তবে জনসংযোগের কাজ চলবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি, বুথস্তরের কর্মী, চা বাগান, আদিবাসী মানুষের সঙ্গে দেখা করতে পারেন রাহুল। তার জন্য আলাদা কর্মসূচি তৈরি হচ্ছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: রামের অযোধ্যায় হোটেল পাচ্ছেন না খোদ লক্ষ্মণ, ‘ক্ষুব্ধ’ সুনীল! মন্দির উদ্বোধনের আগেই ফিরতে হচ্ছে?]
পরের দিন, ২৮ জানুয়ারি ফালাকাটা থেকে যাত্রা শুরু হবে। ময়নাগুড়ি হয়ে জলপাইগুড়ির পিডবলুডি মোড় থেকে কদমতলা মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা। এর পর এবিপিসি-তে বিরতি। এর পর ফাটাপুকুর থেকে শিলিগুড়ি থানা মোড় হয়ে ফের পদযাত্রা এয়ারভিউ মোড় পর্যন্ত। সেখানে জনসভা শেষে নকশালবাড়ির বিহার মোড়ে বিরতি। এর পর উত্তর দিনাজপুরের সোনাপুর পৌঁছে যাবেন। সেখানে রাত্রিবাস করবেন। পরের দিন, ২৯ জানুয়ারি চোপড়া থেকে যাত্রা শুরু। বিহারের কিষাণগঞ্জ হয়ে মালদহে শেষ হবে রাহুলের পদযাত্রা।
[আরও পড়ুন: রামের নিন্দা করতেই ভেঙে পড়ল মঞ্চ! প্রাক্তন সাংসদের দুর্ভোগের ভিডিও ভাইরাল]
তবে এদিন রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’ রুট নিয়ে আলোচনায় বসে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন কংগ্রেসের (Congress) নেতৃবৃন্দ। কারণ, আলিপুরদুয়ারের কর্মীরা চেয়েছেন যাত্রাটি যাতে চা বাগান হয়ে যায়। রাহুল গান্ধী বাগান শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলুন। আবার পাহাড়ের কর্মীরা এদিনও পাহাড়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। যদিও নিরাপত্তার কারণে সবটাই নাকচ করে দেন। পরে সাংবাদিক সম্মেলন করতে বসে কে সি বেণুগোপাল বলেন, “যেদিন থেকে আমাদের যাত্রা অসমে শুরু হয়েছে সেদিন থেকে এই যাত্রাকে আটকাতে এ ধরনের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু আমাদের নেতা রাহুল গান্ধী ভয় পাওয়ার লোক নন। আর আমাদের দলের ইতিহাস আছে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার।”