অর্ণব দাস, বারাকপুর: ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভা বরাবরই খবরের শিরোনামে। কখনও বোর্ড গঠন নিয়ে সমস্যা তো কখনও পেনশন ভোগীদের পেনশন আটকে যাওয়ায় পুরসভার গেটের সামনে বিক্ষোভ। কখনওবা মজুরির দাবিতে কর্মবিরতি করেছে অস্থায়ী শ্রমিকরা। ৩৫টি আসন বিশিষ্ট এই পুরসভায় সবক’টি তৃণমূলের (TMC) দখলে। এবার পুরসভার দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুললেন ভাটপাড়ার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়। সরাসরি নিশানা করলেন পুরসভার চেয়ারম্যানকে।
সত্যেন রায় বলেন, “সবকিছু কন্ট্র্যাক্ট বা চুক্তিভিত্তিকে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোনও আলোচনা হয় না। কাউন্সিলরদের সাথে বা সিআইসি মেম্বারদের সাথে এটা আমরা মেনে নেব না। অন্যান্য পুরসভার আগে কাউন্সিলরের আলোচনা করে তারপর কন্ট্র্যাক্ট পাস হয়। দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে।” ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দাবি, “চেয়ারম্যান রেবা রাহা তাঁর দুই ছেলে সোমনাথ শ্যাম ও সঞ্জয় শ্যামকে সমস্ত কন্ট্র্যাক্ট পাইয়ে দিচ্ছেন।” তৃণমূল কাউন্সিলরের আরও অভিযোগ, “পুরসভার আধিকারিকরা বা কাউন্সিলররা সরাসরি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলতে পারে না। দলকে জানানো হয়েছে, কিন্তু তাতেও কোনও ফল হয়নি।” তিনি দাবি করেন, চেয়ারম্যানকে না সারানো হলে পুরসভা উন্নতি হবে না। এ বিষয়ে বিধায়ক সোমনাথ সেন কোন মন্তব্য করতে চাননি।
[আরও পড়ুন; বাতিলের পথে ১১ হাজার ‘বুড়ো’ গাড়ি, সরকারি কর্মীদের জন্য পুলকারের ব্যবস্থা?]
ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন. “যে কথাগুলো সত্যেনবাবু বলেছে সেগুলো ওঁর ব্যক্তিগত মতামত। যদি কিছু ঘটে থাকে তাহলে দলের মধ্যে আলোচনা করা যেত। সত্যেন দীর্ঘদিন আমাদের সহকর্মী তাই তাঁকে পরামর্শ দেব, আগে উচিত সত্যতা যাচাই করা। ওঁর প্রথমে মিডিয়ার সামনে মুখ খোলা উচিত হয়নি। যদি কোন দুর্নীতি হয়ে থাকে সেটা চেয়ারম্যানের নজরে আনা উচিত ছিল। অভিযোগের কোন সত্যতা আছে কিনা সেটা ঠিক নেই। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।”