রাজা দাস, বালুরঘাট: যাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, তাঁদেরই একজন বিরোধীদের প্রতিবাদে শামিল! রবিবার এমনই আজব ঘটনার সাক্ষী রইল দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) গঙ্গারামপুর। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন রাজ্যজুড়ে ব্লকে ব্লকে বিজেপি (BJP) নেতাদের বাড়ির অদূরে অবস্থান বিক্ষোভে নেমেছেন দলীয় কর্মী, সমর্থকরা। দলের বেঁধে দেওয়া নিয়ম মেনে বিজেপি নেতাদের বাড়ির থেকে ১০০ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান চলছে সর্বত্র। গঙ্গারামপুরের বাতাসকুড়ি মোড়ে আচমকাই সেই অবস্থান মঞ্চে পৌঁছে গেলেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক সত্যেন রায়। মাইক নিয়ে জানালেন, তিনি তৃণমূলের দাবিকে সমর্থন করেন। তাঁর এই ভূমিকায় শোরগোল পড়ে যায়। নিজের বক্তব্য রেখে অবশ্য বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়ক।
রবিবার দুপুরে গঙ্গারামপুরের (Gangarampur) বিজেপি বিধায়কের বাড়ির অদূরে, বাতাসকুড়ি মোড়ে অবস্থান মঞ্চে জমায়েত হন জেলা তৃণমূলের (TMC) কর্মী, সমর্থকরা। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ। দাবি একটাই, রাজ্যের প্রাপ্য দ্রুত মিটিয়ে দিক কেন্দ্র। এই অবস্থানের মাঝেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজের নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়ে সটান তৃণমূলের সেই অবস্থান মঞ্চে পৌঁছে যান গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়ক সত্যেন রায়। তাঁকে দেখে প্রথমে বিক্ষোভরত তৃণমূল কর্মীরা হতভম্ব হয়ে যান। এরপর বিধায়ক নিজেই মঞ্চে উঠে মাইক্রোফোনে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন।
[আরও পড়ুন: ‘ঘরের দরজা ভাল করে এঁটে রাখো’, ‘বোন’ বলে পরামর্শ দেওয়া রুদ্রনীলের বিরুদ্ধে FIR রাজন্যার]
বিজেপি বিধায়কের বক্তব্য, ”আমিও আপনাদের এই দাবির সঙ্গে একমত। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার একসঙ্গে বসে ঠিক করুক, কীভাবে এই সমস্যা মেটানো যায়। এটা সরকারের দায়িত্ব, বিধায়কদের নয়।” তাঁর এই বক্তব্যে বরফ গলা দূরে থাক, তৃণমূল কর্মীরা তাঁর কাছেই জবাবদিহি চেয়ে স্লোগান তুলতে থাকেন। নিরাপত্তারক্ষীরা বিধায়ককে সেখান থেকে নিরাপদে বের করে গাড়িতে তুললেও তৃণমূল কর্মীরা গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। তবে তৃণমূলের মঞ্চে উঠে তাঁদের দাবিকে বিজেপি বিধায়কের এভাবে প্রকাশ্যে সমর্থন জানানো যথেষ্ট শোরগোল ফেলে দিল। এরপর দল সত্যেন রায়ের এই ভূমিকায় কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাই দেখার।
