বিক্রম রায়, কোচবিহার: গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন জন বার্লা (John Barla)। শনিবার কোচবিহারের তুফানগঞ্জ মহকুমা দায়রা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। ৫০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন বার্লা।
ঠিক কী হয়েছিল? ঘটনা সাড়ে তিন বছর আগেকার। ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল লোকসভা ভোটে (Loksabha Election) নির্বাচনি বিধি লাগু থাকলেও বিডিও অফিস চত্বরে বাইক ও গাড়ি নিয়ে র্যালি করেছিলেন আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) লোকসভা কেন্দ্রের তৎকালীন বিজেপি প্রার্থী জন বার্লা ও তাঁর দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। ওই কর্মসূচির কোনও অনুমতি ছিল না পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে। অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও তিনি মিছিল করায় বক্সিরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) পক্ষ থেকে।
[আরও পড়ুন: বেতন না পেয়েই অস্ত্র কেনাবেচার পথ বেছে নেওয়া! STF’এর জালে ধরা পড়ে সাফাই কুরবানের]
সেই মামলায় জন বার্লা-সহ মোট চারজনের নাম ছিল। বাকি তিনজন আগেই মুক্তি পেয়েছেন । গত ১৫ নভেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে আদালতে হাজির হওয়ার সমন পাঠানো হয়। কিন্তু তারপরেও তাঁর আইনজীবী বা জন বার্লা উপস্থিত না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে তুফানগঞ্জ মহকুমা দায়রা আদালত। শনিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। ৫০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান জন বার্লা।
এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে সোনার দোকানে চুরির মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। ২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ার শহরের দুটি সোনার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। প্রথম ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথের বিরুদ্ধে আই পি সি ৪৫৭,৩৮৫ ও ৪১১ নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়। দ্বিতীয় চুরির ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬১, ৩৭৯ ও ৪১১ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়। এই দুই মামলার বিচার বারাসাতের এমএলএ, এমপি আদালতে বিচারের জন্য গিয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্টের অনুমতি ক্রমে এই দুই মামলা ফের আলিপুরদুয়ারের ট্রায়াল কোর্টে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপরই নিশীথের বিরুদ্ধে জারি হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।