বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: নদিয়ার হাঁসখালিতে ধর্ষণের পর কিশোরীর মৃত্যুর (Hanskhali Rape Case) ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। শাসক এবং বিরোধীদের মধ্যে চলছে জোর তরজা। সোমবার হাঁসখালিতে ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। ওইদিন নির্যাতিতার বাড়িতে যাওয়ার কথা গেরুয়া শিবিরের প্রতিনিধি দলেরও।
গত সোমবার রাতেই নদিয়ার হাঁসখালির গ্যাড়াপোতা এলাকায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে সোহেল গোয়ালির জন্মদিনের পার্টিতে গিয়ে বীভৎস অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয় ওই কিশোরী। সোহেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। পরিবারের দাবি, জন্মদিনের পার্টির নামে ডেকে নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে সোহেল। এক মহিলা আত্মীয়ার সাহায্যে বাড়ি ফেরে কিশোরী। সেই সময় থেকে প্রচণ্ড অসুস্থ ছিল সে। রক্তক্ষরণও হতে থাকে। ভোরের দিকে কিশোরীর জন্য ওষুধ আনতে যান পরিবারের সদস্যরা। তবে ততক্ষণে সব শেষ। প্রাণ যায় নাবালিকার। তবে সেই সময় কাউকে কিছুই জানাননি নিহতের পরিজনেরা। দেহ দাহ করে দেওয়া হয়। গত শুক্রবার হাঁসখালি থানায় সোহেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। আপাতত পুলিশের জালে সোহেল। তারপরই ঘটনা সকলের নজরে আসে।
[আরও পড়ুন: ‘স্বর্গে আবার দেখা হবে মা’, রুশ গোলায় নিহত মহিলাকে চিঠি লিখল ছোট্ট মেয়ে]
হাঁসখালির ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে ওই এলাকা-সহ গোটা বাংলা। এই ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রংও। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে বলে আরও একবার অভিযোগ তুলে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “যারা এ ধরনের অত্যাচার করছে তাদের ভয় বলে কিছু নেই তা বোঝাই যাচ্ছে।” এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার হাঁসখালিতে ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি (BJP)। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গেও দেখা করার কথা গেরুয়া শিবিরের।
এদিকে, এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই থমথমে গ্যাড়াপোতা এলাকা। এলাকার কিশোরীর মৃত্যুতে পথে নেমে আন্দোলনে সামিল গ্রামবাসীরা। রবিবার সেখানে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। অভিযুক্তের চরম শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।