ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: নৈহাটির দেবকের মামুদপুরে বাজি কারখানায় প্রবল বিস্ফোরণ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। গুরুতর জখম একজন। তাঁর অবস্থাও অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। শুক্রবার সকালের বিস্ফোরণের জেরে প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার এলাকার ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে। আতঙ্কে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন স্থানীয়রা। কারখানার মালিক নুর হুসেন পলাতক। নৈহাটি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
শুক্রবার সকালে নৈহাটির দেবকের মামুদপুরে বাজি কারখানায় কাজ চলছিল। পাঁচ-ছ’জন বাজি কারখানায় কাজ করছিলেন। আচমকাই প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। বাড়ি ছেড়ে আতঙ্কে বেড়িয়ে পড়েন স্থানীয়রা। তাঁরা দেখেন জঙ্গলে ঘেরা এলাকার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে। তার জেরে প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার এলাকা প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া দমকলে। খবর পাওয়ামাত্রই দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দমকল কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। ওই কাজে হাত লাগান স্থানীয়রাও। বেশ কয়েকঘণ্টা পর ওই বাজি কারখানার ভিতর থেকে মোট পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়। প্রত্যেককে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন পুরুষ এবং দু’জন মহিলা। অগ্নিদগ্ধ আরেকজনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। নৈহাটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর।
[আরও পড়ুন: মণ্ডল সভাপতি বদল ঘিরে চূড়ান্ত উত্তেজনা, দিলীপ ঘোষের সামনেই অন্তর্দ্বন্দ্ব বিজেপি কর্মীদের]
স্থানীয়দের দাবি, মামুদপুর এলাকায় জঙ্গলের ভিতর বহু পরিত্যক্ত বাড়িতেই চলে বাজি তৈরির কাজ। সেক্ষেত্রে অগ্নিনির্বাপক বিধিও মানা হয় না। স্বাভাবিকভাবেই তাই ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। বছরখানেক আগেও মামুদপুরের এই কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছিল। তাতেও জখম হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। তবে সেবারও ওই মালিকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। এবার প্রাণও গেল চারজনের। যদিও বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটার পর থেকেই এলাকাছাড়া মালিক নুর হুসেন। নৈহাটি থানার পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
দেখুন ভিডিও:
The post নৈহাটির বাজি কারখানায় প্রবল বিস্ফোরণে উড়ল ছাদের চাল, মৃত্যু অন্তত ৪ জনের appeared first on Sangbad Pratidin.
