অর্ণব দাস, বারাকপুর: যেমন কথা তেমন কাজ। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই নৈহাটির বড়মার মন্দিরের কাছে পুলিশ ফাঁড়ির উদ্বোধন হয়ে গেল। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশে বুধবার বিকেল থেকে চালু হয়ে গেল ফাঁড়ি। উদ্বোধন করলেন বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া। ছিলেন নবনির্বাচিত বিধায়ক সনৎ দে, বড়কালী পুজো সমিতির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য, পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়-সহ পুলিশ কমিশনারেটের একাধিক কর্তাব্যক্তি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নৈহাটি রেল স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে স্টেশন রোড সংলগ্ন অরবিন্দ রোড গিয়ে শেষ হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নামাঙ্কিত বড়মা ফেরিঘাটে। এই অরবিন্দ রোডের প্রায় মাঝামাঝি অবস্থিত বিখ্যাত বড়মার কালীমন্দির। গত বছর শতবর্ষে এই মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করে পাকাপাকিভাবে স্থাপন করা হয় কষ্টিপাথরের বড়মার মূর্তি। তার পর থেকে প্রতিদিনই ভক্তদের ভিড় বাড়ছে মন্দিরে।
বড়মা পুলিশ ফাঁড়ির উদ্বোধনে বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া।
চলতি কালীপুজোয় ঘোর কৃষ্ণবর্ণে একুশ হাতের দীর্ঘদেহী বড়মার দর্শনে এবং দণ্ডি কাটার জন্য রেকর্ড ভিড় হয়েছিল। ফলে প্রতিদিন আগত অসংখ্য ভক্তদের যাতে কোন সমস্যা না হয় ও তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত থাকে, সেই জন্য মঙ্গলবার বড়মার মন্দিরে পুজো দিতে এসে ফাঁড়ি তৈরির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরের দিন বিকেলেই বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের তৎপরতায় মন্দিরের তিনতলায় উদ্বোধন হল 'বড়মা পুলিশ আউটপোস্ট'।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বলেন, "বড়মার মন্দিরে প্রতিদিন দশ থেকে কুড়ি হাজার ভক্ত পুজো দিতে আসেন। এছাড়াও অরবিন্দ রোড এবং স্টেশন চত্বরের মার্কেট সবসময় জমজমাট থাকে। তাই পুজো দিতে আসা ভক্তরা বিশেষ করে মহিলাদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, মন্দির কমিটির পুজোর আয়োজনে যাতে কোনও সমস্যা না হয় এবং মার্কেট এলাকায় যাতে কোন অপরাধ না হয় - এই তিন উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ফাঁড়ির উদ্বোধন হল। মূলত এই বিষয়গুলিই ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকবে।" পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে খবর, বড়মা পুলিশ আউটপোস্টের দায়িত্বে থাকবেন একজন সাব ইন্সপেক্টর। সঙ্গে মোতায়েন থাকবেন ৩ জন এএসআই, ৮জন কনস্টেবল ও ৮জন সিভিক ভলান্টিয়ার।