shono
Advertisement

Breaking News

চিনের লালফৌজকে রুখতে এবার পানাগড়ে ঘাঁটি ব্রহ্মাস্ত্রসেনার

প্রয়োজনে পাকিস্তান সীমান্তেও পাঠানো হতে পারে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ বাহিনীকে। The post চিনের লালফৌজকে রুখতে এবার পানাগড়ে ঘাঁটি ব্রহ্মাস্ত্রসেনার appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 09:04 AM Dec 09, 2018Updated: 09:04 AM Dec 09, 2018

অর্ণব আইচ: শিয়রে আতঙ্ক চিনের লালফৌজ। তার মোকাবিলায় বাংলার মাটিতে প্রস্তুত হচ্ছে ভারতীয় সেনার নতুন অ্যাসল্ট বাহিনী। নিজের ঘাঁটি রক্ষা থেকে শুরু করে আচমকা হানায় শত্রুকে সীমান্ত পার করবে এই ‘ব্রহ্মাস্ত্র কর্পস’। পানাগড় সেনাঘাঁটিতে আপাতত তার সাজসজ্জা চলছে।

Advertisement

সেনাকর্তাদের মতে, চিন-ভারত যৌথ সামরিক মহড়া চললেও চিন সীমান্তের পরিস্থিতির উপর সবসময় কড়া নজর রাখতে হচ্ছে। অতি স্পর্শকাতর ওই পাহাড়ি তল্লাটে শত্রুবাহিনীর ন্যূনতম অবাঞ্ছিত গতিবিধি নজরে পড়লেই যাতে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেই জন্য ইতিমধ্যেই গড়া হয়েছে মাউন্টেন স্ট্রাইক ফোর্স। তাকেই আরও শক্তিশালী করে তোলার লক্ষ্যে পানাগড়ে ভিত গাড়ছে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’।
বর্ধমানের পানাগড়েই এর মূল ঘাঁটি। তবে অন্য কয়েকটি রাজ্যেও থাকছে এই বাহিনী। সেনা কর্তাদের মতে, পানাগড় থেকে চিনের সীমান্ত কয়েকশো কিলোমিটারের মধ্যে। পানাগড়ে এই সেনা ছাউনির কয়েক কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে বায়ুসেনা ঘাঁটি। এই ঘাঁটিতে তৈরি থাকছে সি ১৩০ জে সুপার হারকিউলিস বিমান।

[ভুয়ো খবর, নির্বাচনে দাঁড়ানোর গুজব ওড়ালেন মাধুরী]

এক সেনাকর্তা জানান, সেনাবাহিনীর সঙ্গে বায়ুসেনা কর্তারা সারাক্ষণ সংযোগে থাকেন। সিকিম থেকে শুরু করে অরুণাচল, চিনের কোনও প্রান্তে যদি কখনও চিনের দিক থেকে আগ্রাসনের খবর আসে ও অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর প্রয়োজন হয়, সঙ্গে সঙ্গেই পানাগড়ের সেনাঘাঁটি থেকে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে যাওয়া হবে কাছেই বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। সেখান থেকে সি ১৩০ জে সুপার হারকিউলিস বিমানে করে পৌঁছে যেতে পারবে চিনের সীমান্তে সেই বিশেষ জায়গায়। প্রয়োজনে পাকিস্তান সীমান্তেও পাঠানো হতে পারে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ বাহিনীকে। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আরও বেশ কিছু আধুনিক অস্ত্র। ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ বাহিনীকেও সুসজ্জিত করে তোলা হবে আধুনিক অস্ত্র দিয়ে। তাই এই বাহিনীর নিজস্ব অস্ত্রভাণ্ডার তৈরির কাজও পুরোদমে চলছে। এক সেনাকর্তা জানান, নজরদারির ক্ষেত্রেও অনেক এগিয়ে গিয়েছে ভারতীয় সেনা। অত্যাধুনিক নাইট ভিশন বাইনোকুলারে রাতের অন্ধকারে সীমান্তপারের সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে কোনও বস্তুর নড়াচড়াও চলে আসছে চোখের কাছে। বাইনোকুলারের সঙ্গে যুক্ত মনিটরে চোখ রেখেই চালানো সম্ভব হচ্ছে নজরদারি। সাধারণ নাইন এম এম পিস্তলের বদলে সুইজারল্যান্ডের ‘মিশিন’ নাইন এম এম পিস্তল এবার ধীরে ধীরে
তুলে দেওয়া হচ্ছে সেনাবাহিনীর হাতে। সাধারণ নাইন এম এম পিস্তলের থেকে ওজনে মাত্র আধ কিলো ভারী ও একটু বড় হলেও একশো মিটার দূরে থাকা শত্রুকেও এই পিস্তল সহজেই ঘায়েল করতে সক্ষম।

এদিকে, মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডা ও বর্ধমানের পানাগড়ের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে যৌথভাবে যুদ্ধবিমানের মহড়া চালাচ্ছে ভারতীয় ও মার্কিন বায়ুসেনা। তার জন্য আমেরিকা থেকে উড়িয়ে নিয়ে আসা হয়েছে এফ-১৫ যুদ্ধবিমান। এই রাজ্যের আকাশে দিনে কয়েক দফায় উড়ে বেড়াচ্ছে মিগ ২৯, সুখোই, জাগুয়ার বিমানও। মহড়া চালানোর সময় প্রচণ্ড গতিতে তারা পৌঁছে যাচ্ছে চিন সীমান্তের কাছেও।

সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ডোকলামের পর এই বছর ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর সম্পর্কের মধ্যে বরফ কিছুটা গলেছে। তারই অঙ্গ হিসাবে চিনের চেংদুতে সপ্তাহের শুরুতেই আরম্ভ হচ্ছে ভারত ও চিনের সেনাদের যৌথ মহড়া। ১৩ দিন ধরে এই মহড়া চলবে চিনে। যৌথভাবে দুই দেশের সেনারা একসঙ্গে অস্ত্র চালাবে। একে অন্যের পারদর্শিতা দেখবে। ফোর্ট উইলিয়ামের এক কর্তার কথায়, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যই মূলত দুই দেশের এই যৌথ প্রচেষ্টা।”

The post চিনের লালফৌজকে রুখতে এবার পানাগড়ে ঘাঁটি ব্রহ্মাস্ত্রসেনার appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup মহানগর toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার