সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বড়সড় সাফল্য পেল বর্ধমান জেলা পুলিশ (Burdwan Police)। যুবক অপহরণের অভিযোগ পেয়ে কয়েকঘণ্টার মধ্যেই অভিযান চালিয়ে তাঁকে উদ্ধার করল পুলিশ। এর মূল কৃতিত্ব বর্ধমান থানার সাব ইন্সপেক্টর (SI)অরবিন্দ ভট্টাচার্য। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে। এখনও অধরা এক। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার দুপুরে অপহরণের পর ৭ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ (Ransom) চেয়ে ফোন আসে যুবকের বন্ধুর ফোনে। এর পরই ওই বন্ধু পুলিশের দ্বারস্থ হন। তদন্তে নেমে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই অপহরণের ছক ধরে ফেলেন পুলিশকর্তারা। সেইমতো অপারেশন চালিয়ে মেলে সাফল্য।
জানা গিয়েছে, বর্ধমানের ছোটনীলপুরের বাসিন্দা পূজা রজক দাসের বন্ধু রাজু সাঁই। বছর ছত্রিশের রাজু আউশগ্রামের (Ausgram) বাসিন্দা। বুধবার পূজার বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজু। সেখান থেকে বেরনোর পর শৈলেন নামে এক ব্যক্তি-সহ চারজন রাজুকে অপহরণ (Kidnap) করে নিয়ে যায়। এর পর ফোন করে ৭ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয় পূজার কাছে। সঙ্গে সঙ্গে বর্ধমান থানার দ্বারস্থ হন পূজা। গোটা বিষয়টি জানান। এসআই অরবিন্দ ভট্টাচার্য তদন্তে নামেন।
[আরও পড়ুন: বারবার অন্য মহিলাদের দিকে তাকাচ্ছেন প্রেমিক, রাগে একী করলেন মহিলা!]
প্রথমে এলাকার একটি রুট ম্যাপ আঁকিয়ে নেন তিনি। সেই রুট ধরে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের ভিত্তিতে অপহরণকারীদের গতিবিধি নজরে এনে অভিযান চালান এসআই। অপহরণকারীদের নাম, পরিচয় জানতে পারেন। শেখ মুলুক চাঁদ, সাবির আলম ও জামির শেখরা সকলেই বর্ধমানের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তাদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। এরাই রাজু সাঁইকে অপহরণ করেছে বলে জানতে পারে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: একাধিক ডেডলাইন মিস, কবে শেষ হবে বুলেট ট্রেনের প্রথম পর্বের কাজ? জানালেন রেলমন্ত্রী]
গোপন সূত্রে তাদের ডেরার হদিশ নিয়ে সোলাপুকুর মসজিদের পাশে রেলের এক পরিত্যক্ত আবাসনে হানা দেয় পুলিশের বড় একটি দল। তখন রাত প্রায় ২টো। সেখানে শেখ মুলুক চাঁদ, সাবির আলম ও জামির শেখ সকলেই উপস্থিত ছিল। পুলিশ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে তাদের। উদ্ধার করা হয় রাজুকে। দুটি মোটরসাইকেলও বাজেয়াপ্ত হয়। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে শুরু হয়েছে তদন্ত।