অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: আগামী বছর চালু হতে পারে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নির্মীয়মান ক্যানসার হাসপাতাল। পাশাপাশি প্রায় শেষের পথে রয়েছে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ব্লকের কাজ। শনিবার এইসব কাজ পরিদর্শন করেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব মৌমিতা গোদারা বসু। হাসপাতালের একাধিক অংশ ঘুরে দেখেন তিনি। একই সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। নতুন বছর থেকে এই হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসা পরিষেবা শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এখনও অনেকটা কাজ বাকি থাকায় সময় লাগছে।
সূত্রের খবর, সচিব-সহ আধিকারিকদের একটি দল প্রথমে হাসপাতালের নির্মীয়মাণ ক্যানসার হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। সেখানে কোথায় কী হবে, তার খোঁজখবর নেন। তারপর সেখান থেকে নির্মীয়মান ১০০ শয্যাবিশিষ্ঠ ক্রিটিক্যাল কেয়ার ব্লক পরিদর্শনে যান। ক্যানসার হাসপাতালের কাজ কিছুটা বাকি থাকলেও সিসিইউ ব্লকের কাজ প্রায় শেষের পথে। হাসপাতালের সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লকও পরিদর্শন করেন তিনি। এরপরে তাঁরা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিকও। হাসপাতালের একাধিক সমস্যার কথা তার সামনে তুলে ধরেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পরিদর্শনে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব মৌমিতা গোদারা বসু। নিজস্ব চিত্র
একাধিক বিষয়ের জন্য অর্থও চাওয়া হয়। সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লকের একাধিক জায়গায় ফলস সিলিং খুলে গিয়েছে তার জন্য অর্থ চাওয়া হয়। এদিকে এদিন একাধিক পরামর্শ দেন মৌমিতা। পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডের বাইরে মহিলাদের বসার জন্য বেঞ্চ বসানোর নির্দেশ দেন তিনি। এবিষয়ে হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, "দ্রুত গতিতে সমস্ত কাজ এগিয়ে চলছে। তবে ঠিক কবে থেকে ক্যানসার ব্লকের পরিষেবা চালু হবে, সেটা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। সেটা পূর্ত দপ্তর বলতে পারবে। উনি এসে বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখেছেন।"
এদিন কর্মী সংকটের বিষয়টিও তুলে ধরেন সুপার। তিনি বলেন, "একটি বিভাগ চালাতে প্রফেসর, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ও রেসিডেন্সিয়াল মেডিক্যাল অফিসার-সহ অন্য কর্মী প্রয়োজন। কর্মী না থাকায় সব বিভাগ চালু করা যাচ্ছে না। এই বিষয়টি জানানো হয়েছে।" তবে স্বাস্থ্য সচিব এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, নতুন এই পরিকাঠামো তৈরি হলে উত্তরবঙ্গে আরও আধুনিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে। তাঁরা আশাবাদী আগামী বছরের শুরুর দিকে ক্যানসার ব্লকের বহিঃবিভাগ চালু হতে পারে। ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে। ক্যান্সার হাসপাতাল চালু হয়ে গেলে যে সকল গরিব পরিবার বিনা চিকিৎসার জন্য বিপাকে পড়ে, তাঁদের জন্য সুবিধা হবে।
