রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: জীবনকৃষ্ণ সাহার পর তাপস সাহা। নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কেরও বাড়ি সংলগ্ন পুকুর ঘিরে রহস্য। কেন সিবিআই হানার ঠিক ঘণ্টাখানেক আগে পুকুরে ছাঁচালেন বিধায়ক, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর, পুকুরপাড়ে বসে নানা নথিপত্রও নাকি পুড়িয়ে ফেলেছেন সিবিআই স্ক্যানারে থাকা তাপস।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ ন’জন সিবিআই আধিকারিক তাপস সাহার বাড়িতে যান। স্থানীয়দের দাবি, তার ঠিক ঘণ্টাখানেক আগে বাড়ি লাগোয়া পুকুরপাড়ে বসেছিলেন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক। যদিও ওই পুকুরপাড় বড়ই প্রিয় বিধায়কের। তাঁর নির্দেশেই একটি পুকুর ছেঁচে ফেলেন বেশ কয়েকজন। এমনকী পুকুরপাড়ে বসে নাকি বেশ কিছু নথিপত্রও পুড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রশ্ন উঠেছে, জীবনকৃষ্ণ সাহার মতো তাপসের বাড়ি লাগোয়া পুকুরে লুকিয়ে রয়েছে অমূল্য রতন? পুকুরেও তল্লাশি শুরু হয় কিনা, সেটা এখন দেখার।
[আরও পড়ুন: শিক্ষার পর এবার পুরসভা দুর্নীতিতেও সিবিআই তদন্ত, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]
এদিকে, টানা ছ’ঘণ্টা ধরে বিধায়ককে ম্যারাথন জেরা সিবিআইয়ের। তাঁর উপস্থিতিতে বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা। বন্ধ লফট থেকে কমপক্ষে ৬৮টি নথি উদ্ধার করা হয়েছে। বিধায়ককে সঙ্গে বেতাইয়ের কলেজেও যান তদন্তকারীরা। ওই কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি তাপস। তাই তাঁকে সঙ্গে নিয়ে কোনও গুরুত্বপূর্ণ নথির খোঁজে সিবিআই কলেজে গিয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। বিধায়কের আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল, তাঁর বন্ধু শ্যামল এবং প্রবীর ‘ঘনিষ্ঠ’ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। চলছে জোর তল্লাশি।