মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: সফলভাবে চাঁদের অন্ধকার দিকে পৌঁছে গিয়েছে ভারত, তা নিয়ে সারা দেশ গর্বিত। তবে হাওড়ার (Howrah) উদয়নারায়ণপুরের খিলা গ্রাম ও খিলা গোপীমোহন শিক্ষা সদনের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পড়ুয়া, আরও বেশি আনন্দিত। কারণ, তাদের গ্রামের ছেলে, তাদের স্কুলের ছেলেও এই চন্দ্রযান ৩-এর (Chadrayaan 3) সফল অভিযানে নেপথ্যের অন্যতম কুশীলব। তিনি ডঃ অমিত মাজি। তিনি এখানকার বিজ্ঞানীদের অন্যতম।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুর পিঠে চন্দ্রযানের সফট ল্যান্ডিংয়ের (Soft Landing) দায়িত্ব ছিল যে সব বিজ্ঞানীদের হাতে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম অমিত মাজি। অমিত বাবুর জন্ম বেড়ে ওঠা পড়াশোনা সবই এই গ্রামে এবং এই গ্রামের স্কুলে। তাই গ্রামবাসীরাও একটু বেশি গর্বিত আপ্লুত এই ভেবে যে, যে কাজ সারা বিশ্বের দরবারে ভারতকে আরও উন্নত স্থানে পৌঁছে দিয়েছে, সেই কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রামের ছেলে, তাদের স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ডঃ অমিত মাঝি।
[আরও পড়ুন: নেমেই কাজ শুরু ‘বিক্রম’-এর ক্যামেরার, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর ভিডিও পাঠাল চন্দ্রযান ৩]
তিনি এই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত। এখান থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পাশ করার পর তিনি বেলুড় বিদ্যামন্দির থেকে পদার্থবিদ্যায় (Physics) অর্নাস নিয়ে পাশ করেন। এরপর রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে ইলেকট্রনিক্স এবং টেলি কমিনিউকেশন নিয়ে বি টেক (B Tech) পাশ করেন। ২০০৬ সালে অমিত মাজি ইসরোতে যোগ দেন বিজ্ঞানী হিসাবে। অমিতবাবু এখন বেঙ্গালুরুত থাকেন।
[আরও পড়ুন: মিশন চন্দ্রযান ৩-এ চাঁদের তাপমাত্রায় কড়া নজর, সাফল্যের নেপথ্যে পাঁশকুড়ার ভূমিপুত্র]
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপ কুমার বেরা বলেন, ”আমার সব থেকে গর্বের বিষয় অমিত আমার ছাত্র। ও খুবই ব্যস্ত রয়েছে। আমার সঙ্গে আজ মিনিট তিনেকের কথা হয়েছে।” এদিকে বিক্রমের সফট ল্যান্ডিং দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল স্কুলে।