সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একাত্তরের ‘শত্রু’দের কাছে টেনে ভারত বিদ্বেষে মুখর বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসের অনুমোদনের পর কয়েকমাস আগে ঢাকায় শাখা খুলেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। সূত্রের খবর, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হিংসার নেপথ্যে রয়েছে এই আইএসআইয়ের ঢাকা সেল! শুধু তাই নয়, প্রতিবেশী দেশে বসে এবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতকেও অশান্ত করার ষড়য্ন্ত্র করছে পাক গুপ্তচর সংস্থা।
২০২৪ সালে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আপাতত সে দেশের প্রশাসন চালাচ্ছেন ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। তখন থেকেই ইউনুসের পাক-প্রীতি ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে এসেছে। কয়েকমাস আগে পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল শাহিদ শামসাদ মির্জা ও তাঁর প্রতিনিধিদল ঢাকা সফরে যান। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বৈঠক হয় দু’পক্ষের। এরপরই ঢাকায় আইএসআইয়ের কার্যালয় খোলার অনুমোদন দেন ইউনুস। তখন থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল, ভারতের প্রায় নাকের ডগায় পাক গুপ্তচর সংস্থার উপস্থিতি দেশে সন্ত্রাসবাদকে ফের উসকে দিতে পারে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষাও কিছুটা চাপের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল আন্তর্জাতিক মহল।
বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, “আইএসআইয়ের ঢাকা সেলের প্রাথমিক লক্ষ্য হল বাংলাদেশের শাসনভার জামাতের হাতে তুলে দেওয়া, যাতে দেশে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করা যায়। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে বিকল্প হিসাবে তাদের লক্ষ্য হল নির্বাচন বিলম্বিত করা।” তবে একটি সূত্রের দাবি, পাক গুপ্তচর সংস্থার বৃহত্তম লক্ষ্য হল ভারত। তারা পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে সন্ত্রাসী সংগঠন তৈরি করতে চায়। এর জন্য তারা ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যাতে অনুপ্রবেশ সহজ হয়। আগামী বছর মার্চ বা এপ্রিল মাসে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বাংলায় বড়সড় ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনায় মেতে রয়েছে আইএসআইয়ের ঢাকা সেল।
সত্রের আরও দাবি, জুলাই আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা তথা ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির মৃত্যু পূর্ব পরিকল্পিত। আর এর নেপথ্যেও রয়েছে আইএসআইয়ের ঢাকা সেল। বাংলাদেশের মাটিতে শাখা খোলার পর থেকেই ঢাকাকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র করছিল তারা। অপেক্ষা করছিল সঠিক সময়ের। তারপর বাংলাদেশে নির্বাচন ঘোষণার পরই পরিকল্পনাটি তারা কার্যকর করে।
