বাবুল হক, মালদহ: ফের জ্বলছে বাংলাদেশ। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা। ওপার বাংলায় আক্রান্ত বহু হিন্দু পরিবার। মহিলাদের মানসম্মান লুন্ঠিত হচ্ছে! সূত্রের খবর, তার জেরেই অনেক পরিবার ইতিমধ্যে সীমান্ত টপকে ঢুকে পড়েছে এপারে! পাসপোর্ট, ভিসা না থাকলেও প্রাণ বাঁচাতে অনুপ্রবেশ করেছেন তাঁরা! অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হতে পারেন, এই আশঙ্কায় লুকিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন আত্মীয়ের বাড়িতে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে এক এক করে বেশ কয়েকটি পরিবার ভারতে ঢুকে গোপনে আশ্রয় নিয়েছে ওল্ড মালদহের 'বাংলাদেশি কলোনি'তে!
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশি কলোনি। দেশভাগের পর থেকেই ধীরে ধীরে তা কলোনির রূপ নেয়। বাংলাদেশিরাই ঝুপড়ি বানিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেই বাংলাদেশি কলোনিতেই ওপার থেকে পালিয়ে আসা পরিবারগুলি গোপনে আশ্রয় নিচ্ছে। সেই কলোনিতে গিয়ে দেখা যায় তাঁদের বেঁচে থাকার জন্য আর্তনাদ, কান্নার রোল। এক কাপড়ে মালদহে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁদের কেউ বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের বাসিন্দা, কেউ থাকেন সোনা মসজিদ স্থলবন্দর সংলগ্ন গ্রামে, কেউ আবার রাজশাহীর ভোলাহাটের বাসিন্দা। পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই প্রাণ বাঁচাতে, সম্ভ্রম বাঁচাতে ভারতের বাংলাদেশি কলোনিতে একের পর বাংলাদেশি! উদ্বেগ প্রশাসনেও। তাঁদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছেন গোয়েন্দারা।
বাংলাদেশের সঙ্গে ১৬৫.৫ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে মালদহের। তারমধ্যে বেশ কিছু এলাকায় কাঁটাতার নেই। রয়েছে নদীপথও। বিএসএফের একটি সূত্রের দাবি, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের যে সব জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই, উন্মুক্ত অবস্থায় রয়েছে সেই এলাকাগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু তাতেও আতঙ্ক কমছে না সীমান্তবর্তী ভারতীয় গ্রামগুলির বাসিন্দাদের।
বাংলাদেশের এই অবস্থায় হামলা চালানো হয়েছে ভারতীয় হাই কমিশনেও। সেই আগুনের আঁচ লাগতে পারে বাংলাদেশ লাগোয়া ভারতীয় সীমান্তেও। এই শঙ্কায় আগেই মালদহের সীমান্তগুলিতে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে বিএসএফ। বৈষ্ণবনগর, কালিয়াচক, ইংলিশবাজার, ওল্ড মালদহ, বামনগোলা এবং হবিবপুর সীমান্তে বিএসএফের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বেড়েছে টহলদারি জওয়ানদের সংখ্যাও।
