shono
Advertisement
Katwa

প্রাচীন শিবমন্দিরের গর্ভগৃহে 'দাস'দের প্রবেশে নিষেধ! তপ্ত কাটোয়া

শনিবার মন্দির কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেন প্রশাসনের কর্তারা।
Published By: Subhankar PatraPosted: 07:55 PM Mar 08, 2025Updated: 08:24 PM Mar 08, 2025

স্টাফ রিপোর্টার, কাটোয়া: শিবমন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশাধিকার ঘিরে দু'পক্ষের সংঘাতে উত্তপ্ত কাটোয়ার গীধগ্রাম। গীধগ্রামে রয়েছে সাড়ে তিনশো পুরানো একটি শিবমন্দির। সারাবছর নিত্য পুজো হয়। শিবরাত্রি, গাজন উৎসবে ব্যাপক ধুমধাম হয়। শিবরাত্রির কয়েক দিন আগে গীধগ্রামের দাসপাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন। তবে শুক্রবার উত্তেজনা ছড়ায়। শনিবার মন্দির কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেন প্রশাসনের কর্তারা।

Advertisement

সপ্তাহ দুয়েক আগে গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, গীধেশ্বরের মন্দিরের পুজো দিতে দাসপাড়ার পরিবারগুলিকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ঢুকতে গেলে গালিগালাজ করা হচ্ছে। এ নিয়ে এসডিও-র দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। এসডিও একটি বৈঠক ডাকেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, পুজোর্চ্চনার অধিকার আপামর গ্রামবাসী সমানভাবেই পাবেন। দু'পক্ষই তাতে সায় দিয়েছিল।

শুক্রবার একই সমস্যা ঘিরে ফের গীধগ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। দাসপাড়ার বাসিন্দা এককড়ি দাস, মদন দাসের অভিযোগ, "আমরা এদিন শিবমন্দিরে পুজো দিতে গেলে তালা খোলা হয় নি। পুজো দিতে পারিনি।"

তবে মন্দিরের সেবাইত মাধব ঘোষ বলেন, "প্রতিদিনের মতো নিত্যসেবার পুজো হয়ে যায়। পুরোহিত গর্ভগৃহের দরজা বন্ধ করে চলে যান। সন্ধ্যার আগে ওই দরজা খোলার বিধি নেই। কিন্তু দাসপাড়ার কিছু লোক দাবি করছিলেন ফের গর্ভগৃহ খুলে দিতে হবে। তখনই গ্রামের মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়েন।"

মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে ইতিমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্রাহ্মণ ব্যতীত গর্ভগৃহে কেউ প্রবেশ করতে পারেন না। এটাই তিন শতাব্দী ধরে চলে আসছে। মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত ঘোষ,  কুমোর থেকে সকলেই এই নিয়ম মেনে চলেন। তাই এই প্রথা যাতে না ভঙ্গ করা হয় সেজন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • শিবমন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশাধিকার ঘিরে দু'পক্ষের সংঘাতে উত্তপ্ত কাটোয়ার গীধগ্রাম।
  • গীধগ্রামে রয়েছে সাড়ে তিনশো পুরানো একটি শিবমন্দির।
  • শিবরাত্রির কয়েক দিন আগে গীধগ্রামের দাসপাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন।
Advertisement