সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসআইআর বা বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এসআইআর হলে কী কী নথি দেখাতে হবে তা নিয়ে সন্দিহান সাধারণ মানুষ। সাধারণের মনের কথা তুলে ধরে ঘাটালে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে মমতার প্রশ্ন, "রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড কোনওটাই হবে না। তাহলে কোনটা হবে? এই পরিচয় পত্রগুলি ইলেকশন কমিশন, কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে। কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সেই গুলি বৈধ হবে না কেন?"
এসআইআর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মামলায় ইলেকশন কমিশন আধার কার্ডকে মান্যতা দিয়ে চায়নি। বাংলার এসআইআর হলে কোন কোন নথি দেখাতে তা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছে অনেক পরিবার। অনেকে প্রশ্ন তুলছে যে নথি খোদ কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে, ইলেকশন কমিশন এপিক কার্ড দিয়েছে, সেগুলি প্রমাণ্য নথি হতে পারবে না কেন?
আজ, মঙ্গলবার ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই সাধারণের প্রশ্ন গুলি তুলে কেন্দ্রকে বিঁধলেন তিনি। মমতা বলেন, "আধার কার্ড কে তৈরি করেছিল? ভারত সরকার, এপিক কার্ড কারা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কেন সেইগুলিকে মানা হবে না। এত কোটি কোটি টাকা খরচ করে বানানো হয়েছে, তা কী জলে চলে যাবে। রেশন-আধার -এপিক কার্ড হবে না। তা কি হবে? এটা কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে পরিকল্পনা মাফিকস গেম খেলছে। আমরা এটা মানব না।" এসআইআরের আড়ালে কেন্দ্র এনআরসির পরিকল্পনা করছে বলেও আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘাটালবাসীকে পরামর্শ, "সবাই ভোটার তালিকায় নাম তুলবেন।"
দেশবাসী নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে কোন পরিচয় পত্র দেখাবে তা নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মালা রায়ও। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে দু'টি প্রশ্ন করেন, এক) পরিচয়পত্র যদি ভারতীয় নাগরিকত্বরে পরিচয় হয় তাহলে তার বিবরণ দেওয়া হোক। দুই) আদালতে ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে কোনটি গ্রহণ যোগ্য? এর উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিস্তারিত উত্তর দেয়নি। জানানো হয়েছে, ১৯৫৫ সালে নাগরিকত্ব আইন ও ২০০৪ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুসারে, কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের প্রতিটি নাগরিককে বাধ্যতামূলকভাবে নাম নথিভুক্তের কথা বলে। তাকে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে থাকে। সমস্তটাই আইন অনুসারে করা হয়।
