সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ভারতীয় জলসীমায় ফের আটক বাংলাদেশের দু'টি ট্রলার। গ্রেপ্তার ৩৫ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী।
আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমা পেরিয়ে ফের ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে মাছ ধরছিল বাংলাদেশের দু'টি ট্রলার। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী এই ট্রলার দু'টিকে আটক করে। তাঁদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগ করা হয়েছে। আটক করা হয় দু'টি ট্রলারে থাকা ৩৫ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। .
কোস্টগার্ড বুধবার বিকেলে আটক মৎস্যজীবীদের ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এরপরেই তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমা পেরিয়ে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে মাছ ধরছিল বাংলাদেশি দুটি ট্রলার। ট্রলার দু'টির নাম, সাবিনা-১ এবং রূপসী সুলতানা। সাবিনা -১ ট্রলারটিতে ১১ জন এবং রূপসী সুলতানা ট্রলারে ২৪ জন বাংলাদেশী মৎস্যজীবী ছিলেন।
মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে টহলরত ইন্ডিয়ান কোস্টগার্ডের নজরে আসে সন্দেহজনক ট্রলার দু'টি। উপকূল রক্ষী বাহিনী তৎক্ষণাৎ বাংলাদেশের ওই ট্রলার দু'টিকে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক করে। দু'টি ট্রলারে থাকা আটক ৩৫ জন বাংলাদেশী মৎস্যজীবীকে বুধবার কোস্টগার্ড নিয়ে আসে ফ্রেজারগঞ্জ মৎস্যবন্দরে। আটক ওই মৎস্যজীবীদের ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় কোস্টগার্ড। পুলিশ জানিয়েছে, আটকৈ মৎস্যজীবীদের অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হবে।
অন্যদিকে, ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীদের ট্রলারে ধাক্কা মেরেছিল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ! ওই ঘটনায় ১১ জন মৎস্যজীবী কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন। বাকি পাঁচজন নিখোঁজ ছিলেন। আজ, ভোরে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে কাকদ্বীপের ময়নাপাড়া ডকে নিয়ে আসা হয়েছিল। ট্রলার থেকে জল বার করতেই ইঞ্জিন ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় ওই দু'জনের নিথর দেহ। সঞ্জীব দাসের বাড়ি কাকদ্বীপের পশ্চিম গঙ্গাধরপুরে। রঞ্জন দাসের বাড়ি পূর্ব বর্ধমান পূর্বখালির দুরাজপুরে। মৃতদের পরিবারকে খবর পাঠানো হয়েছে।
