নন্দন দত্ত, রামপুরহাট: রাজ্যে ঘটে চলা বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনার কিনারায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আগেই। সেই দায়িত্বজ্ঞানহীন পুলিশকে কুকুরের সঙ্গে তুলনা করে শনিবার বিতর্ক উসকে দিয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md. Selim)। আর রবিবার তিনি সে প্রসঙ্গে বিতর্ক আরও বাড়ালেন। রবিবার রামপুরহাটে (Rampurhat) দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বললেন, ”পুলিশকে কুকুরের সঙ্গে তুলনা করে কুকুরের অপমান করেছি।” স্বভাবতই এই মন্তব্য ঘিরে আরও বাড়ল বিতর্কের আঁচ।
শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহম্মদ সেলিম বললেন, ”পুলিশকে কেন মাইনে দিয়ে রাখা হয়েছে? পুলিশের কাজ দালালি করা। তার চেয়ে কয়েকটা কুকুর পুষলে ভাল হয়। পুলিশেরই কুকুর থাকে ট্রেনিং দেওয়া। তারা গন্ধ শুঁকে সঠিক জায়গায় চলে যেতে পারে। তাতেই বোঝা যাবে, অপরাধ কোথায় কোথায় হচ্ছে। কয়েকজন এসপিকে সরিয়ে বিদেশি কিছু কুকুর এনে ট্রেনিং দেওয়া হোক।” অর্থাৎ নানা ঘটনার তদন্তে পুলিশের দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন সেলিম। তাঁর এহেন মন্তব্য নিয়ে যথারীতি বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ‘দলিত যুবককে হত্যা ইসলাম বিরোধী’, হায়দরাবাদে অনার কিলিংয়ের ঘটনায় নিন্দা ওয়েইসির]
আর রবিবার তিনি গিয়েছিলেন রামপুরহাটে। রাজ্যের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নিয়ে জেলা কমিটির সম্মেলনে যোগ দিতে। সেখানেও মঞ্চে বক্তব্য রাখচে গিয়ে বলেন, ”আমি সাধারণত কাউকে খারাপ কথা বলি না। বললে নিজেরই খারাপ লাগে। তবে কাল বলেছি, পুলিশকে মাইনে না দিয়ে কুকুর পোষা হোক। এখন বলছি, ওকথা বলে আমি কুকুরদের অপমান করেছি। কারণ, কুকুরকে ট্রেনিং দিলে তারা ঠিক খুঁজে অপরাধীকে শনাক্ত করতে পারবে। মুখ্যমন্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে জিগেস করবে না, কোন কেস কোন পথে সাজাতে হবে।”
[আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম আকাশছোঁয়া, মহার্ঘ রান্নার মশলাপাতি, মূল্যবৃদ্ধির আঁচ রেস্তরাঁর মেনু চার্টে]
তাঁর এই মন্তব্যে পালটা দিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) কটাক্ষ, ”যারা নেতাজিকে তোজোর কুকুর বলে অপমান করেছিল, তাদের কাছ থেকে তো এই মন্তব্যই প্রত্যাশিত। সিপিএমের আমলেই পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছিল। সেসব ঘটনা কি ভুলে গিয়েছেন?”