সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধেয়ে আসছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'ডানা'(Cyclone Dana)। কিন্তু সেই চোখ রাঙানিকে পাত্তা নিতে রাজি নয় পর্যটকেরা। ঝড়ের দাপট দেখতে দিঘা-তাজপুর-মন্দারমণি থেকে পুরীর সমুদ্র সৈকতে জড়ো হচ্ছে 'সাহসী' মানুষজন। প্রবল ঢেউ, জলোচ্ছ্বাসকে উপেক্ষা করে সেলফি তোলার হিড়িক পড়েছে সমুদ্র সৈকতে।
ছবি: পিটিআই।
ঘূর্ণিঝড় 'ডানা'র আতঙ্কে কাঁপছে বাংলা-ওড়িশা। আজ, বৃহস্পতিবার রাতেই ধামরা বন্দর ও ভিতরকণিকার মাঝে ল্যান্ডফল। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। বাংলার উপকূলীয় এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা মারাত্মক। বিপদ এড়াতে ইতিমধ্যে প্রস্তুত প্রশাসন। উত্তর ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ভিতরকণিকার কাছে ধামরায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলায় সবচেয়ে বেশি থাকবে ঝড়ের গতিবেগ। প্রতি ঘণ্টায় ১১০-১১০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিমি।
ছবি: পিটিআই।
বিপদ এড়াতে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলীয় (দিঘা, শংকরপুর, তাজপুর, মন্দারমনি) এলাকায় ২৩-২৫ অক্টোবর পর্যন্ত নতুন করে হোটেলে বুকিং নেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পূর্ব মেদিনীপুর প্রশাসন। সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মাইকিং করা হচ্ছে। প্রশাসনিক তৎপরতা সত্ত্বেও হুঁশ ফেরেনি আমজনতার।
ছবি: পিটিআই।
সোশাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ট্রেন্ডিং 'সাইক্লোন টুরিজম'। অর্থাৎ ঝড় দেখতে উপকূল বা ল্যান্ডফল যেখানে হচ্ছে সেখানে ভিড় জমানো। আর এই অ্যাডভেঞ্চারে গা ভাসিয়ে বিপদ ডেকে আনছেন তাঁরা। প্রশাসনিক তৎপরতা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার সকালেও সমুদ্রের পাড়ে ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা। তাঁদের সেলফি তোলার হিড়িকও চোখে পড়ার মতো।তাঁদের সরাতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতেও দেখা গিয়েছে।