নিরুফা খাতুন: সপ্তাহের শুরুতেই বিচিত্র আবহাওয়া বঙ্গে। সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় মুখ ঢাকল দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলা। দৃশ্যমানতা এতটাই কম যে ট্রেন, বাস তো বটেই, বিমান চলাচলও ব্যাহত হল সকাল থেকে। বিমান ওঠানামায় সমস্যা। এদিকে, লোকাল ও দুরপাল্লার ট্রেনেরও একই অবস্থা। কুয়াশায় দৃশ্যমানতা আবছা হওয়ায় বিপদ এড়াতে অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে ট্রেন। ফলে গন্তব্যে পৌঁছতে অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে। তবে বেলা বাড়তে কলকাতার বুক থেকে সরেছে কুয়াশার চাদর, রোদ ঝলমলে আবহাওয়া। দিনের বেলা সামান্য ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রা। উত্তরবঙ্গে আগামী কয়েকদিন হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, দৃশ্যমান্যতা ৫০মিটারের নীচে নেমে যাওয়ায় বিমান পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে ভোর থেকেই। কোনও বিমান উড়তে পারেনি। এখন পর্যন্ত ২-৩টি বিমান কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পেরেছে। ফলে সবই প্রায় দেরিতে চলছে।
পৌষের শেষবেলায় খানিকটা খামখেয়ালি আচরণ শীতের। কখনও পারদ পতন, কখনও আবার তা চড়ছে। সপ্তাহের প্রথম দিন আবার ঘন কুয়াশা। যার জেরে শীতবোধ খানিকটা কম। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আপাতত কদিন কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গে দিনের বেলার তাপমাত্রা কিছুটা উপরের দিকেই থাকবে। রাতে অবশ্য ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করবে পারদ। তবে ফের তা কমবে সংক্রান্তির সময়ে। চলতি সপ্তাহেই সাগরের হাওয়ার কারণে দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনায় কিছুটা জাঁকিয়ে ঠান্ডার আমেজ অনুভূত হতে পারে। তবে কুয়াশার দাপট থেকে নিস্তার নেই এখনই। দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমের মতো জেলাগুলি সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়বে বলে পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের। তবে তার স্থায়িত্ব বেশিদিন নয়। দু-তিনদিন পর থেকেই কেটে যাবে কুয়াশার জাল।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে প্রধানত শুষ্ক আবহাওয়া থাকলেও বিক্ষিপ্তভাবে দু-একটি জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। মঙ্গল ও বুধবার উত্তরবঙ্গে কয়েকটি জেলা যেমন দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য জেলায় আংশিক মেঘলা আকাশ, বেলা বাড়তে মেঘ কেটে যেতে পারে। তবে আগামী দুদিন কুয়াশাচ্ছন্ন থাকবে মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার। তারপর থেকে ফের পারদ পতন ও পৌষ সংক্রান্তির সময়ে শীত অনুভূত হবে ভালোই। এমনই পূর্বাভাস দিচ্ছে হাওয়া অফিস।