দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বাঘের আতঙ্ক আরও বাড়ল সুন্দরবনের মৈপীঠ গ্রামে। এবার কুলতলির কিশোরী মোহনপুর সংলগ্ন দক্ষিণ জগদ্দল এলাকায় মঙ্গলবার সকালে বাঘের উপস্থিতি টের পাওয়া গেল। এলাকার বাসিন্দারা এদিন সকালে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান। ফলে নতুন করে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। ওই এলাকার আরও খানিক পূর্ব দিকে এগিয়ে উত্তর জগদ্দল সংলগ্ন জঙ্গলে বর্তমানে বাঘ রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
নতুন করে এক কিলোমিটার এলাকা জাল দিয়ে ঘেরা হয়েছে এদিন সকাল থেকে। এলাকার তিন দিক সম্পূর্ণ ঘিরে নদীর দিকের অংশ খুলে রাখা হবে। বাঘ যাতে নদী পেরিয়ে জঙ্গলে ফিরে যেতে পারে। সেজন্যই এই ব্যবস্থা বলে জানাচ্ছেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। আজ সকালেই ঘটনাস্থলে গিয়েছেন এডিএফও অনুরাগ চৌধুরী। তিনি পুরো কাজের তদারকি করছেন। ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন ডিএফও। তিনি ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাঘকে তাড়িয়ে গভীর জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। তবে খাঁচা পাতার সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। আজ পরিস্থিতি বিচার করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক হবে বলে খবর। বাঘ তাড়াতে গ্রামের বাইরে শব্দবাজিও ফাটানো হচ্ছে।
লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় বাঘ চলে আসায় আতঙ্ক আরও বাড়ছে। রুজিরুটির জন্য বাসিন্দাদের জঙ্গলে যেতে হয়। গতকাল থেকে সব বন্ধ। গ্রামে রাত পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছিল গতকাল রাতে। মশাল নিয়ে কর্মীরা পাহারা দিয়েছেন। আজও সেই রাত পাহারা চলবে। অন্ধকার নামলে বাসিন্দাদের বাড়ির ভিতর থেকে বেরতে বারণ করা হয়েছে। রাতে বন্ধ ঘরেই গতকাল ছিলেন বাসিন্দারা। এদিন রাস্তায় আলো লাগানোর দাবি তোলা হয়েছে। মৈপীঠ থানার পুলিশ স্থানীয়দের সচেতন করার কাজ চালাচ্ছে। এদিকে মঙ্গলবার সকালে গ্রামের জঙ্গলের ধারে যেখানে জাল লাগানো হয়েছিল, সেটির একটা অংশ কাটা অবস্থায় দেখতে পাওয়া গিয়েছে। বাঘ কি তাহলে গ্রামের ভিতর ঘোরাঘুরি করেছে গভীর রাতে? সেই প্রশ্নও উঠছে।