shono
Advertisement

পাশে নেই বাবাও, আদালতে মনুয়ার চোখে জল

ছেলে ফোন করবে, বাংলাদেশে অনুপমের বাবা এখনও অপেক্ষায়। The post পাশে নেই বাবাও, আদালতে মনুয়ার চোখে জল appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 09:44 AM Jan 05, 2018Updated: 04:14 AM Jan 05, 2018

স্টাফ রিপোর্টার: কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আগাগোড়া মেয়ের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে রইলেন। শুধু তাই নয়, উকিলের প্রশ্নের উত্তরে নিহত জামাইয়ের চরিত্রকে পরোক্ষে সার্টিফিকেটও দিলেন বারাসতের সেই মনুয়া মজুমদারের বাবা, প্রণয়ীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগে যে কি না এখন জেলবন্দি।

Advertisement

[মোবাইলে মনুয়ার আপত্তিজনক সেলফির জন্যই কি খুন অনুপম?]

রাজ্য তোলপাড় করে দেওয়া সেই মানুয়াকাণ্ডের বিচারপর্ব চলছে বারাসত আদালতে। ২০১৭ সালের মে মাসে বারাসত থানা এলাকার হৃদয়পুরের তালপুকুরে নিজের বাড়িতেই নৃশংসভাবে খুন হয়েছিলেন মনুয়ার স্বামী অনুপম সিংহ। তদন্তে নেমে খুনের অভিযোগে মনুয়া ও তাঁর প্রেমিক অজিতকে গ্রেফতার করেন। মনুয়া ও অজিতের বিরুদ্ধে খুন ও ষড়যন্ত্রের ধারায় চার্জ গঠন হয়েছে বারাসত ফাস্ট ট্র‌্যাক চতুর্থ আদালতে। গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হয় বিচারপর্ব। বৃহস্পতিবার ছিল সাক্ষ্যগ্রহণের দ্বিতীয় দিন। এর আগে মনুয়ার বাবা নির্মল মজুদারের সাক্ষ্য নেন সরকারি আইনজীবী। এদিন মনুয়ার আইনজীবীরা নির্মলবাবুকে জেরা করেন। মনুয়ার ব্যক্তিগত আইনজীবী সুব্রত বসু তাঁকে প্রশ্ন করেন, “জামাইয়ের চরিত্র সম্পর্কে মেয়ে(মনুয়া) কখনও কোনও অভিযোগ জানিয়েছে?” উত্তরে নির্মলবাবু বলেন, ‘‘না।’’

বারাসত আদালতের আইনজীবীদের একাংশের মতে, এই সংক্ষিপ্ত উত্তরের মাধ্যমে একপ্রকার যেমন জামাইয়ের পাশে দাঁড়ালেন নির্মলবাবু, তেমনই মামলায় নিজের মেয়ের অবস্থানকে আর একটু নড়বড়ে করে দিলেন। এই নিয়ে দু’বার আদালতে এসে মেয়ের মুখোমুখি হয়েছেন নির্মলবাবু। তবে একদিনও তাঁকে মনুয়ার দিকে ফিরে তাকাতে দেখা যায়নি। বরং দু’দিনই কিছু প্রত্যাশা নিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়ানো বাবার দিকে তাকিয়ে ছিল মনুয়া। বাবার অবহেলায় অবশেষে চোখ দিয়ে জল ঝরে পড়ে মনুয়ার।

আগের দিনের মতো এদিনও মনুয়ার আইনজীবীদের বাগবিতণ্ডায় উত্তাল হয়ে ওঠে আদালত। চার্জ গঠনের আগে দিনের পর দিন মনুয়ার আইনজীবী আদালতে গরহাজির থাকায় লিগাল এড থেকে আবদুল রাউফ মণ্ডল নামে এক আইনজীবীকে নিয়োগ করেন বিচারক। পরবর্তীতে আবার নতুন করে ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করে মনুয়া। বিচারপর্বের প্রথম দিনও লিগ্যাল এড ও মনুয়ার ব্যক্তিগত আইনজীবীদের বিবাদে থমকে গিয়েছিল বিচারপ্রক্রিয়া। এদিনও এই মামলার অভিযোগকারী এবং অন্যতম সাক্ষী নির্মল মজুমদারকে জেরা করা নিয়ে মতানৈক্য দেখা যায় তাদের মধ্যে। লিগ্যাল এড-এর আইনজীবী আবদুল রউফ মণ্ডল নির্মলবাবুকে জেরা করতে চাইলে তার বিরোধিতা করেন মনুয়ার ব্যক্তিগত আইনজীবী সুব্রত বসু ও সোমনাথ মণ্ডল। তার জেরে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল হট্টগোল শুরু হয় আদালতে।

[মনুয়াকে ফোনে স্বামীর চিৎকার শোনাতে এই নৃশংস কাজটি করে অজিত]

এদিন আদালতের বাইরে অনুপমের খুনে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন তাঁর আত্মীয় ও বন্ধুরা। ছেলের খুনের বিচার পেতে বাংলাদেশ থেকে এসে এদেশে রয়েছেন তাঁর মা কল্পনা রানি দেবী। মামলার দিনগুলি সকালেই আদালতে চলে আসেন তিনি। এদিন অনুমপের দিদিও পপি সিংহ-ও এসেছিলেন বারাসত আদালতে। তিনি জানান, “মার শরীর খুবই খারাপ। বাবা ও দেশেই রয়েছেন। দিনভর শ্মশানে গিয়ে বসে থাকেন। আর বিকেল হলেই বলেন, ফোন টা দে, অনুপম ফোন করবে তো।” সন্তানহারা সেই পিতা এখনও মানতে পারেননি, আর কখনও ফোন আসবে না তাঁর, বাবা বলে ডাকবে না অনুপম।

The post পাশে নেই বাবাও, আদালতে মনুয়ার চোখে জল appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement