সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: কালীপুজোয় চাঁদার জুলুম! চাঁদা আদায়ের দাবিতে চিকিৎসককে হাসপাাতালে যেতে বাধা দেওয়া, মাটিতে ফেলে মারধরের মতো একাধিক অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নদিয়ার (Nadia) ফুলিয়া। অভিযোগের তির এলাকারই বাসিন্দা বাবা-ছেলের দিকে। তাঁদের বিরুদ্ধে ফুলিয়া ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন প্রহৃত চিকিৎসক (Doctor)। ঘটনায় গর্জে উঠেছেন এলাকাবাসী। এভাবে রাস্তাঘাটে আটকে চাঁদা আদায়ের জন্য তাঁদের চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে বিরক্ত স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তদের শাস্তি চান।
রবিবার সকালে হাসপাতালের কাজে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন চিকিৎসক সুজন দাস। তিনি ফুলিয়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক। শান্তিপুর থেকে বাইক নিয়ে ফুলিয়া আসার সময় কয়েকজন ব্যক্তি তাঁর পথ আটকে দাঁড়ান বলে অভিযোগ। কয়েকজন বাচ্চা এগিয়ে এসে সুজনের কাছে কালীপুজোর (Kali Puja) চাঁদা দেওয়ার জন্য বলে। তিনি জানান, আপাতত তাঁকে হাসপাতালে যেতে হবে। এমার্জেন্সি আছে। চাঁদা দিতে পারবেন না। কিন্তু তাঁর রাস্তা ছাড়েননি কেউ।
[আরও পড়ুন: কালীপুজোর সকালেই প্রয়াত কলকাতার তৃণমূল কাউন্সিলর]
চিকিৎসক সুজন দাসের অভিযোগ, ”প্রথমে আমার বাইকের চাবি কেড়ে নেওয়া হয়। আমি বারবার বলতে থাকি, আমাকে আগে হাসপাতালে যেতে হবে। কিন্তু কিছুতেই যেতে দিচ্ছিল না। বারবার চাঁদা দেওয়ার কথা বলছিল। আমি প্রতিবাদ করায় চাঁদু ঘোষ আর পুটি ঘোষ নামে দুজন মারধর করতে শুরু করল। আমি ততক্ষণে পুলিশকে ফোন করেছি। ফোনটা আমার হাত থেকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমি মোবাইল হাতছাড়া করিনি। তখন ওরা ধাক্কা মেরে রাস্তায় ফেলে দিল। অন্যরা বলছিল, ওঁকে ছেড়ে দেওয়া হোক, হাসপাতালে যাবেন। কিন্তু চাঁদু আর পুটি কিছুতেই কারও কথা শোনেননি। আমাকে বলছিল, ঘোষপাড়া দিয়ে যেতে হলে কালীপুজোর চাঁদা না দিয়ে যাওয়া যাবে না।”
[আরও পড়ুন: মণ্ডল কমিশনের রিপোর্ট চেপে রেখেছিলেন কেন? জাতি সমীক্ষা নিয়ে কংগ্রেসকে পালটা শাহের]
গোটা ঘটনা নিয়ে ফুলিয়া ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই চিকিৎসক। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জয় ঘোষের দাবি, এভাবে মাঝেমধ্যেই রাস্তা আটকে চাঁদার জুলুম চলে। হেনস্তার শিকার হতে হয় তাঁদের। এবার চিকিৎসককে এভাবে প্রহৃত হতে হল, তাতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ সকলে। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।
দেখুন ভিডিও: