Durga Puja 2021: প্রতিমা তৈরি থেকে পুজো, নিজের হাতে দুর্গা আরাধনায় মগ্ন সিউড়ির নবম শ্রেণির ছাত্র

09:58 PM Sep 12, 2021 |
Advertisement

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: কোনও প্রশিক্ষণ নেই। সম্পদ বলতে শুধু কল্পনা আর সাহস। এই জোড়া শক্তি নিয়েই গত পাঁচ বছর ধরে আপন খেয়ালে দুর্গা (Durga Puja) প্রতিমা তৈরি করে যাচ্ছে নবম শ্রেণির সৌমিক দাস। নিজের তৈরি সেই মূর্তির তন্ত্রধারক সে নিজেই, পুরোহিতও সে। সিউড়িতে (Suri) সৌমিকের বাড়ির পুজো দেখতে আসেন তার স্কুলের প্রধান আচার্য নিজে। দুর্গাপুজো করে বছর পনেরোর সৌমিক সারা বছরের মনের জোর পায়।

Advertisement

মাটি নয়, কাগজের মণ্ড দিয়ে নিজের দুর্গা তৈরি করে সৌমিক। মণ্ডপ নয়, নিজের পড়ার ঘরের পড়ার টেবিলে থাকে তার নিজের হাতের তৈরি পাঁচজনের একচালার প্রতিমা। সৌমিক যখন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র, তখন থেকেই সে মূর্তি (Idol) তৈরি করে পুজো করার ঝোঁক চাপে। সৌমিকের মা সুলতা দাস বলেন, ”আমরা প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম। রাজ রাজেশ্বরীর পুজো। ত্রুটি হলেই সর্বনাশ। আমরা ঝাড়খণ্ডের পথে পলাশ বাসিনীর পূজারীর কাছে যাই।” সুলতাদেবী জানান, ওই বনদেবী দুর্গার কাছে মানত করেই সৌমিককে তাদের ঘরে পাওয়া। পূজারীর মতে, সৌমিক দুর্গার ছেলে। মহামায়া তাকে যেভাবে কাজ করাবে, সে সেই শক্তিতে কাজ করবে। সংহতি পল্লির নিখিল দাসের বাড়ির দুর্গাপুজো এখন সৌমিকের নামেই বিখ্যাত।

[আরও পড়ুন: ‘লক্ষ্য এবার দেশের মাটি’, দিলীপ ঘোষের সমালোচনার জবাবে ছড়া কাটলেন মদন মিত্র]

সৌমিকের বাবা বিএসএনএল কর্মী। ছেলেমেয়ে, স্ত্রীকে নিয়ে পুজোর রাতগুলোয় প্রতিমা দেখতে বেরতেন। ছেলে সেই দেখেই প্রেরণা পায়। তারপর সে নিজে হাতেই মূর্তি গড়তে শুরু করে। সৌমিক জানায়, প্রথম থেকেই সে কাগজের মণ্ড দিয়েই প্রতিমা তৈরি করে আসছে। কাগজ আর সুতো দিয়ে প্রতিমার কাঠামো হয়। জল রং, পোস্টার কালার দিয়ে হয় তার অঙ্গরাগ।

Advertising
Advertising

[আরও পড়ুন: TMC in Tripura: ‘ত্রিপুরায় খেলতে যেতে চাই, পারলে আটকাও’, BJP-কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন অনুব্রত]

প্রতিবছর তার স্কুলে সরোজিনীদেবী শিশু মন্দিরে সরস্বতী পুজোয় প্রদর্শনীতে রাখার দাবি জানান স্কুল শিক্ষকরা। কিন্তু সৌমিকের বিশ্বাস, যে প্রতিমায় সে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে, তা বিসর্জন দেওয়াই দরকার। প্রদর্শনীতে কোনও প্রতিমা রাখতে চাইলে তা আলাদা করে বানিয়ে দেওয়া যেতে পারে। লকডাউনের সময় গত দু’মাস ধরে সৌমিক প্রতিমা তৈরির কাজ করেছে। তার মা জানান, ”পুজোর চারদিন সৌমিক নিজের মতো করে ঘট ভরে, কলা বউ আনে, পুজো করে। আবার সংহতি পল্লির মণ্ডপে দুর্গার কাছে পুষ্পাঞ্জলি দেয়।” কিন্তু পুজোর ধ্যান, জপমন্ত্র কীভাবে জানল সে? সৌমিক জানায়, পুজোর আচার শেখা শুরু হয়েছে ইন্টারনেট। আর তার শক্তি হছেন দশভুজা দুর্গা।

Advertisement
Next