রাজা দাস, বালুরঘাট: পুজোয় বিজেপির মুখ মিঠুন চক্রবর্তী। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে পুজো উদ্বোধন করতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। তবে সেই পুজোরই অনুমতি দিল না পুলিশ। এমনকী সার্কিট হাউসে থাকারও অনুমতি পেলেন না মিঠুন। বাধ্য হয়ে মালদহের একটি হোটেলে থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে তাঁর। অনুমতি না পাওয়ার নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রই দেখছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
শুক্রবার রাজ্যে এসেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। শনিবার সকালে প্রাক পুজো সম্মেলনীতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল বিজেপি নেতার। এরপর শিয়ালদহ থেকে মালদহের উদ্দেশে রওনা দেন মিঠুন। আগামিকাল অর্থাৎ রবিবার ভোরে মালদহ স্টেশনে পৌঁছনোর কথা বিজেপি নেতার। সার্কিট হাউসে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পর দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে প্রাক পুজো সম্মিলনীতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মিঠুনের। বালুরঘাট নিউটাউন ক্লাবের পুজো উদ্বোধন করবেন বলেও পরিকল্পনা ছিল।
[আরও পড়ুন: অনলাইন গেমে কোটি কোটি টাকা ‘প্রতারণা’, গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেপ্তার গার্ডেনরিচের আমির খান]
তবে বিজেপির দাবি, সার্কিট হাউসে থাকার অনুমতি পাননি মিঠুন চক্রবর্তী। তাই বাধ্য হয়ে মালদহের গোল্ডেন পার্ক নামে একটি হোটেলে থাকবেন তারকা বিজেপি নেতা। এমনকী যে পুজোটি উদ্বোধনের কথা ছিল, সেটির অনুমতিও দেয়নি প্রশাসন। প্রসঙ্গত, বালুরঘাট নিউটাউন ক্লাবের দুর্গাপুজোয় এবারের থিম বুর্জ খালিফা। ৮০ ফুট উচ্চতার এই মণ্ডপ তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। প্রশাসনের দাবি, ৮০ ফুট উচ্চতার মণ্ডপে অনুমতি দেওয়া যাবে না। মণ্ডপের উচ্চতা সর্বোচ্চ ৪০ ফুট হলেই দেওয়া যাবে অনুমতি। শেষমেশ পুজো উদ্বোধন না করেই মিঠুন চক্রবর্তী ফেরেন কলকাতায়। হেস্টিংসে সুকান্ত মজুমদারকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সার্কিট হাউসে তাঁর থাকার অনুমতি না মেলা নিয়ে সুকান্তর প্রতিক্রিয়া, ”তাঁকে অনুমতি না দিয়ে বাংলা ও বাঙালির অপমান করা হয়েছে বলে মনে করি। কারণ, মিঠুনদা তো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন শুধু। তাঁকে আমরা ছোটবেলা থেকে চিনি, দেখছি। তাঁকে এভাবে অনুমতি না দেওয়াটা অপমানজনক।”
সোমবার তেমন কোনও কর্মসূচি নেই মিঠুনের। মঙ্গলবার আরামবাগ এবং হুগলির প্রাক পুজো সম্মিলনীতে যোগ দেবেন। তার ঠিক পরদিন অর্থাৎ বুধবার বর্ধমানে যাওয়ার কথা তাঁর। প্রাক পুজো সম্মিলনীতে যোগ দেওয়ার পরই কলকাতায় ফিরবেন।