সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ঘর ভেসে যাচ্ছে রক্তে। আর্ত চিৎকার করছেন শাশুড়ি ও বউমা। তাঁদের সামনে হাতে রক্তমাখা বঁটি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে যুবক। কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যু হয় বউমার। বউদিকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেওর। শনিবার সকালের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার কালীগঞ্জ এলাকায়। নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ অভিযুক্ত দেওরকে গ্রেপ্তার করেছে।
মৃত গৃহবধূর নাম বিন্দু রুইদাস। আহত মৃতার শাশুড়িও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সাতসকালে বছর বত্রিশের বউদির সঙ্গে তাঁর দেওর বিষ্ণুর বচসা হয়। তারপরেই বিষ্ণু ধারালো বঁটি দিয়ে বউদিকে কোপাতে শুরু করেন। গলা-সহ শরীরের একাধিক জায়গায় কোপ বসায় সে। রক্তে ভেসে যায় মেঝে। বিন্দুর শাশুড়ি এই ঘটনা দেখে চমকে ওঠেন। তড়িঘড়ি পুত্রবধূকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। তখন বিষ্ণু তার মায়ের শরীরেও কোপ বসায়।
শাশুড়ি এবং পুত্রবধূ চিৎকার শুরু করেন। তাঁদের আর্ত চিৎকার প্রতিবেশীদের কানে পৌঁছয়। ঘুমঘোর কাটিয়ে ওই বাড়িতে দৌড়ে আসে প্রায় গোটা পাড়ার লোক। খবর দেওয়া হয় নিউ টাউনশিপ থানায়। খবর পাওয়ামাত্র পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। অভিযুক্ত বিষ্ণ রুইদাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে বঁটিটিও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। কী কারণে বউদির উপর হামলা চালাল বিষ্ণু, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বউদি-দেওরের বিবাদের কারণ সম্পর্কে কিছুই বলতে পারছেন না, তাদের পরিবারের লোকজনও। প্রতিবেশীদের কাছেও হামলার কারণ অজানা। এসিপি সুবীর রায় বলেন,"অভিযুক্ত বিষ্ণু রুইদাসকে আমরা খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করেছি। পারিবারিক বিবাদের জেরে এই খুন বলে আমাদের প্রাথমিক অনুমান। তবে খুনের পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করবে ফরেন্সিক দলও।"