ধীমান রায়, কাটোয়া: দলের পাণ্ডার বয়স কুড়ি। বাকি দু’জনের বয়স চোদ্দ বছর, আর একজনের বয়স মোটে বারো বছর! গভীর রাতে জানলার কাচ ভেঙে একটি বাড়িতে ঢুকে নগদ ৪১ হাজার টাকা, তিনটি মোবাইল ও কানের দুল নিয়ে চম্পট দিয়েছিল ওই তিনজন। যে বাড়িতে চুরি হয়েছিল, সেই বাড়ির মালিক আবার সেনাবাহিনীর জওয়ান। চুরির কিনারা করতে রীতিমতো হিমশিম খেল পুলিশ। ঘটনার মাস তিনেক বাদে অবশেষে গ্রেপ্তার করা গেল চারজন অভিযুক্তকে। ধৃতদের মধ্যে তিনজনই নাবালক। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে।
[ ফের ইসিএলের কর্মী আবাসনে চুরি, খোয়া গেল লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী]
পূর্ব বর্ধমানের ভাতার বাজারের সারদাপল্লিতে থাকেন মকিম মণ্ডল। সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন তিনি। মাস তিনেক আগে ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন মকিম। পুলিশ জানিয়েছে, গত ২ জুলাই সপরিবারে বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন ওই সেনা জওয়ান। রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। পরের দিন সকালে ফিরে দেখেন, বাড়িতে চুরি হয়ে গিয়েছে। জানলার কাচ ভেঙে ঘরে ঢুকে ৪১ হাজার টাকা, তিনটি মোবাইল ও কানের দুল নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোরেরা। সেদিন ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই সেনা জওয়ান।
কিন্তু, খোদ সেনা জওয়ানের বাড়িতে কারা চুরি করল? তদন্তে নেমে কুলকিনারা করতে পারছিলেন না দুঁদে পুলিশকর্তারাও। শেষপর্যন্ত একটি মোবাইলে সূত্রে চুরির কিনারা হল। ধরা পড়ল চার অভিযুক্ত। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, যে চারটি ফোন চুরি হয়ে গিয়েছিল, তার একটি স্মার্টফোন। সেই ফোনটি আবার ভাতার বাজারের একটি এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন চোরেরা। সেই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চার অভিযুক্তের সন্ধান পায় পুলিশ। চারজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে নাবালক। বছর কুড়ি সুকুমার শেখকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাকি দুই নাবালককে পাঠানো হয়েছে জুভেলাইন আদালতে। এদিকে নাবালক চোরেদের কীর্তিতে তাজ্জব দুঁদে পুলিশকর্তারাও।
ছবি: জয়ন্ত দাস
[ পুজোর অনুমতি পাইয়ে দিয়েই উপার্জন! অভিনব পেশায় সংসার চালান এই বৃদ্ধ]
