shono
Advertisement

অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী ও তাঁর ছেলেকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেন অয়ন! প্রকাশ্যে বিস্ফোরক তথ্য

অয়নের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে সরব চুঁচুড়াবাসী।
Posted: 09:01 PM Mar 24, 2023Updated: 09:01 PM Mar 24, 2023

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: কোটি কোটি টাকা নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত অয়ন শীলের চাকরি করে দিয়েছিলেন চুঁচুড়া ট্রেজারির কর্মী শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত সেই অয়নের কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন ওই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। ১২ অক্টোবর ২০১৮ অয়নকে দায়ী করে তিনি একটি সুইসাইড নোট লিখে রেখে গিয়েছিলেন। চুঁচুড়া থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে তা ধামাচাপাও পড়ে যায়। এমনকি সেই সুইসাইড নোট চোখে দেখেননি শ্রীকুমারবাবুর পরিবারের অন্যান্যরাও। চুঁচুড়াবাসীর দাবি, শ্রীকুমারবাবুর সেই সুইসাইড নোট প্রকাশ্যে এনে এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

Advertisement

ব্যান্ডেল দেবানন্দপুরের বাসিন্দা শ্রীকুমারবাবু প্রত্যেক দিন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতেন। কিন্তু ঘটনার দিন দুপুর হয়ে গেলেও তিনি এবং তাঁর ছেলেকে স্থানীয়রা দেখতে পাননি। প্রতিবেশীরা চুঁচুড়া থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ছেলে রূপকুমার চট্টোপাধ্যায়ের দেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহের পাশ থেকে হাতে লেখা সুইসাইড নোট ছাড়াও টাইপ করা বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়। যার তলায় শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়ের সই ছিল। এই সুইসাইড নোটে তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য লিখে রেখে গিয়েছেন। শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন অয়নকে তিনি চাকরি দিয়েছেন। তিনি নিজে সরকারি চাকরি করে এক কাপ চা পর্যন্ত কারও কাছ থেকে খাননি। নোটে উল্লেখ করেছেন, তাঁর সরলতার সুযোগ নিয়ে ২০১২ ও ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেটে প্রায় দুই কোটি টাকা এবং ২০১৫’র টেটে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে ৬৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন অয়ন।

[আরও পড়ুন: সাঁঝ আকাশে বিরল দৃশ্য! একই মঞ্চে চাঁদ ও শুক্র]

যেহেতু প্রার্থীরা শ্রীকুমারবাবুকে বিশ্বাস করে অয়নকে ওই টাকা দিয়েছিলেন তাই প্রার্থীদের অভিভাবকরা তাঁকে বাড়িতে এসে অপমান করেছেন। শেষ পর্যন্ত অয়নকে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলায় অয়ন তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয় বলেই অভিযোগ। একথা ওই নোটে উল্লেখ করে গিয়েছেন ওই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। শেষ পর্যন্ত অয়নের হুমকির কাছে নতিস্বীকার করতে বাধ্য হন তিনি। অনেক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে আত্মহত্যার আগে তিনি লিখে রেখে গিয়েছেন “আমার ছেলে মানসিকভাবে অসুস্থ। তাকে রেখে গেলে অবহেলা হবে। তাই নিয়ে গেলাম।” পাশাপাশি তাঁর মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের যে শাস্তি হবে না একথা আক্ষেপ করে ওই নোটে লেখেন।

তিনি আরও লেখেন, “ওদের পয়সা আছে। প্রশাসনকে চুপ করিয়ে দেবে। ওরা সব পারে, খুন করিয়ে দেবে।” আজ পর্যন্ত বাবা-ছেলের মৃত্যুরহস্য কোন এক অজ্ঞাত কারণে উদঘাটিত হয়নি। তাই চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল, দেবানন্দপুর-সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ দাবি করেছেন এই ঘটনার পিছনে যারা যুক্ত রয়েছে তাদের প্রকাশ্যে আনা হোক। শুধু তাই নয় তারা আরও দাবি করেছেন, টাইপ করা ওই কাগজে নিয়োগ কেলেঙ্কারির অনেক গোপন তথ্য লুকিয়ে আছে।

[আরও পড়ুন: ৩১ মার্চের মধ্যে করতেই হবে এই কাজগুলি, নইলে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement