রাজকুমার কর্মকার, আলিপুরদুয়ার: পাহাড়ে, জঙ্গলে ঘেরা সুন্দরী ডুয়ার্স। বছরভর ডুয়ার্সের জলদাপড়া অভয়ারণ্যে পর্যটদের ভিড় লেগে থাকে। কিন্তু, এই অভয়ারণ্য থেকেই প্রায়ই বন্য জন্তুরা ঢুকে পড়ে আশেপাশের লোকালয়ে। তছনছ হয়ে যায় বাড়ি ঘর। নষ্ট হয় ফসল। এমনকী, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। কখনও কখনও নাগালের মধ্যে পেয়ে বন্যজন্তুদের মেরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাই বন্যপ্রাণীদের লোকালয়ে ঢোকা আটকাতে চিলাপাতার জঙ্গলের চারিদিকে বিদ্যুতের তারের বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। সূত্রে খবর, এই চিলাপাতা জঙ্গল থেকে সবচেয়ে বেশি বন্যজন্তু লোকালয়ে ঢোকে।
[বিতর্কের জেরে সিনেমার শুটিং বন্ধ বিশ্বভারতী চত্বরে]
বস্তুত, চিলাপাতার জঙ্গলের চারিদিকে বিদ্যুতের তারের বেড়া দেওয়ার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই বেড়া দেওয়ার কাজ শেষও হয়ে যাবে। সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাব ব্যাটারি থেকে বেড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। পরবর্তীকালে ব্যবহার করা হবে সৌরবিদ্যুৎ। কিন্তু, এই বেড়ার সংস্পর্শে এসে যদি বন্যজন্তুরা যদি বিদ্যুতের শক খায়, তাহলে তো তাদেরও ক্ষতি হতে পারে? জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষের দাবি, বেড়ার তারে থাকবে ‘ডিরেক্ট কারেন্ট’ বা ডিসি। তাই পশুদের কোনও ক্ষতি হবে না। বরং একবার শক খাওয়ার পর দ্বিতীয়বার আর বেড়ার কাছে যাওয়ার সাহস করবে না তারা। শকের প্রভাবও কিছুক্ষণের মধ্যেই কেটে যাবে। কোচবিহার বনদপ্তরের ডিএফও কুমার বিমল বলেন, “আমরা জলদাপাড়ার চিলাপাতার জঙ্গলে এই বিদ্যুতের তারের বেড়া দিয়ে ঘেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রায় ১৮ কিলোমিটার চিলাপাতা জঙ্গলের সীমানা এই তার দিয়ে ঘেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিলাপাতার জঙ্গলে এই প্রকল্প সফল হলে জলদাপাড়ার অন্যান্য এলাকাতেও একই কায়দায় বিদ্যুতের তারের বেড়া দিয়ে ঘেরা হবে।” এদিকে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন পশুপ্রেমীরা। তাঁদের দাবি, কিছু দিন পরেই বিদ্যুতের তারে বেড়া নষ্ট হয়ে যাবে। ফের লোকালয়ে ঢুকে পড়বে বন্যপ্রাণীরা। এরআগে বক্সার জঙ্গলে বন দপ্তরের অফিসগুলিতে বন্যজন্তুদের হামলা ঠেকাতে বিভিন্ন এলাকার এভাবেই বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘেরা ফেলা হয়েছিল।
[অভিনব পদক্ষেপ, প্রশাসনের উদ্যোগে ‘প্যাডম্যান’ দেখল স্কুলপড়ুয়ারা]
The post লোকালয়ে বন্যপ্রাণীদের প্রবেশ রুখতে এবার জঙ্গলে বিদ্যুতের তারের বেড়া appeared first on Sangbad Pratidin.
