শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে হাতিপুজো গরুমারা (Gorumara) জাতীয় উদ্যানের রীতি। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু সোমবার এই হাতিপুজোর মধ্যেই ছন্দপতন। পুজোর সময়ে পোষা হাতিই চালাল হামলা (Elephant Attack)। অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন প্রাণী চিকিৎসক। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের হাতি পিলখানায় হাতিপুজোর প্রস্তুতির মধ্যে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় হতবাক উপস্থিত বনকর্মী, বন আধিকারিক থেকে নিয়ে উপস্থিত পর্যটকরাও।
বিগত বছরের মতো এবছরও হাতিপুজোর আয়োজন হয়েছিল গরুমারা জাতীয় উদ্যানের ধূপঝোড়ায়। আমন্ত্রিতদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাণী চিকিৎসক (Veterinary Surgeon) শ্বেতা মণ্ডল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পুজোর জন্য সাজিয়ে গুছিয়ে আনা হয়ে ছিল কুনকি হাতি কিরণ রাজকে। চিকিৎসার সূত্রে কিরণ রাজের সঙ্গে দীর্ঘদিনের চেনা শ্বেতা মণ্ডলের।
[আরও পড়ুন: চাপে নতিস্বীকার, ক্লাস প্রতি ১০০ টাকা সাম্মানিকের নোটিস প্রত্যাহার তপনের কলেজের]
সোমবার পুজোয় এসে কিরণ রাজকে আদর করতে যান শ্বেতা মণ্ডল। সেই সময় আচমকা তেড়েফুঁড়ে কিরণ রাজ চিকিৎসকের উপর হামলা চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। পালিয়ে প্রাণ বাঁচান চিকিৎসক। তাঁর শরীরের বেশ কিছু জায়গায় আঘাত লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি প্রাণী চিকিৎসক শ্বেতা মণ্ডল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বন দপ্তরের আধিকারিকরা। গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের বন আধিকারিক দ্বিজপ্রতিম সেন জানান, কী কারণে এই ঘটনা, খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার পর দ্রুত পুজো শেষ করে কিরণ রাজকে অন্যত্র সরিয়ে নেন মাহুতরা।