নব্যেন্দু হাজরা ও সুনীপা চক্রবর্তী: হাতির হানায় মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝাড়গ্রামে (Jhargram) স্বজনহারা পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিলেন তিনি। বুধবার ভোর রাতে শাবকের মৃত্যুর ঘটনায় তাণ্ডব চালায় মা হাতি। সেই তাণ্ডবে পালাতে না পেরে মারা পড়েন দুই বৃদ্ধ।
সন্তান শোকে দিশেহারা মা। হস্তি শাবকের মৃত্যুর পর ক্ষেপে উঠে ঝাড়্গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের চাঁদাবিলা রেঞ্জের দেউলবাড় এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে দুই ব্যক্তিকে মেরে ফেলার পর রাস্তায় উঠে যাত্রীবাহী বাস ও বাইকে ভাঙচুর চালায় মা হাতি। বনদপ্তর সুত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুই ব্যক্তির নাম শশধর মাহাত (৬০) ও আনন্দ জানা (৭৩)। তাদের দুজনের বাড়ি বাছুরখোয়া এলাকায়। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বাড়িগুলিও দ্রুত মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল’কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে CID তদন্ত নয়, নির্দেশ হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের]
বনদফতর ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে কলাইকুন্ডার দিক থেকে ১৫টি হাতির দল সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে নয়াগ্রাম ব্লকের রামেশ্বর মন্দির সংলগ্ন দেউলবার এলাকায় প্রবেশ করে। ওই দলে একটি শাবক হাতি ছিল। কিন্তু শাবকটি নদী জল বেশি থাকার কারণে ডুবে যায়। মা হাতিটি বহু চেষ্টা করে শাবকটিকে টেনে তুললেও মারা যায়। কিন্তু স্ত্রী হাতিটি প্রথমে মৃত শাবকটিকে ছেড়ে যেতে চায়নি। এরপর উদভ্রান্তের মত ছুটতে থাকে। মৃত্যুর খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তেই পাশাপাশি এলাকার মানুষজন মৃত শাবক দেখার জন্য ভিড় জমায়। এদিকে বনদপ্তর বারবার সর্তক করলে মানুষ এলাকায় জমায়েত করে।
সেই সময় ক্ষিপ্ত মা হাতিটি রেগে গিয়ে মানুষজনকে তাড়া করে। অন্যান্য মানুষজনেরা দৌড়ে পালিয়ে যেতে পারলেও দুই বৃদ্ধ পড়ে যান। পর পর ওই দুই ব্যক্তিকে শুঁড়ে ধরে আছাড় মারলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের। এ বিষয়ে খড়্গপুরের ডিএফও শিবানন্দ রাম বলেন, “একটি শাবক হাতির মৃত্যুর ঘটনার পরেই স্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। মৃত শাবকটিকে ছাড়তে চাইছিল না। পরে চারিদিকে ছোটা ছুটি শুরু করে। বারবার সতর্ক কর হয়েছিল যাতে লোকজন সরে যায়। দুই বৃদ্ধ পালাতে পারেননি। মৃত পরিবার দুটিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। “