স্টাফ রিপোর্টার: নিম্নচাপের জেরে অসময়ে বৃষ্টি। আর তার জেরেই আলুচাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা কৃষকদের। একাধিক জেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষের জমিতে বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। সদ্য লাগানো আলু এবং মাঠে কেটে রাখা পাকা ধানে সেই জল গিয়ে মিশছে। এই পরিস্থিতিতে মাথায় হাত চাষিদের।
বিষয়টি নিয়ে কৃষি দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে শুক্রবার নবান্নে বৈঠক করেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, ”সদ্য যাঁরা আলুর (Potato) বীজ বপন করেছেন, সেগুলোকে রক্ষা করা মুশকিল। মানে শেষ ১২ দিনের মধ্যে যারা বীজ ছড়িয়েছেন, সেগুলো পচে যেতে পারে। কিন্তু বাকি ফসলের খুব একটা ক্ষতি হয়নি। আমরা কথা বলেছি সব জেলার কৃষি আধিকারিকদের সঙ্গে। তাছাড়া সমস্ত কৃষকই রাজ্যের শস্যবিমার আওতায় রয়েছেন। সরকার তাঁদের দিকটিও দেখছে।”
[আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের আগে নয়া ট্রেন পেল উত্তরবঙ্গ, X হ্যান্ডলে ঘোষণা সাংসদ সুকান্তর]
এদিকে আলুচাষে ক্ষতি হলে বাজারে তার দামবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরাই জানাচ্ছেন, এই বৃষ্টির অজুহাতে অনেকেই আলুর দাম বাড়িয়ে নেবেন। কিন্তু তেমনটা হওয়ার কথা নয়। শোভনদেববাবু জানান, ”আলুর দাম যাতে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে না চলে যায়, তা দেখবে টাস্ক ফোর্স।” তবে মন্ত্রী বলেন, ‘‘আলু ছাড়া অন্য কোনও ফসলেরই তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। আমরা রিপোর্ট নিয়েছি। এই বৃষ্টিতে বেশ কিছু জিনিসের চাষের অনেক উপকারও হয়েছে বলে চাষিরা জানাচ্ছেন।’’
সাধারণত হুগলির বিস্তৃত অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে আলু চাষ করা হয়ে থাকে। তবে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণে সেখানে আলুচাষ পিছিয়ে গিয়েছিল। সাধারণত শীত পড়তেই আলু চাষ করা হয়ে থাকে। চাষিদের মতে, চলতি বছরে আলুচাষ ১০ থেকে ১৫ দিনের মতো পিছিয়ে গিয়েছে। যে সমস্ত চাষিরা বীজ বপন করে ফেলেছেন এই অকাল বৃষ্টিতে তাতে পচন ধরবে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।